• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

admin
প্রকাশিত ০৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০২৪ ১৮:৫৫:৩৬
সিলেটে নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রির্পোটার //

 

 

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনাগুলোতে জড়িত নয় এমন একজনকে আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায়

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলে ধরে ভুক্তিভোগীর মা আমেনা বেগম। তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমেনার ভাই রাশিদ মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা পতনের এক দফা দাবিতে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, বিজিবি এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। গোলাপগঞ্জ পৌরসদরসহ বিভিন্ন স্থানে দিনভর হওয়া সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও কয়েক শ আহত হন।
শেখ হাসিনার পতনের পর ওই দিনের ঘটনাগুলোতে আদালত ও থানায় একের পর এক মামলা হতে থাকে। এর মধ্যে ৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে গোলাপগঞ্জের কদমরসুল এলাকার পশ্চিম ধারাবহর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে মাওলানা আব্দুল কাদিরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। ৩টির মধ্যে একটি হত্যা মামলা ছিলো। তবে আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে সে মামলা থেকে কাদিরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই মামলায় তিনি এখনো আসামি। মাওলানা আব্দুল কাদির আগে বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করতেন। এখন ঢাকা দক্ষিণ বাজারে তাঁর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তাঁকে এসব মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করে হয়রানির কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাশিদ মিয়া জানান- কাদিরের পরিবারের সঙ্গে উপজেলার পূর্ব বারকোট এলাকার আব্দুস শহিদের ছেলে ইয়াকুব আহমদ, বিলাল আহমদ, জুবায়ের আহমদ ও কবির আহমদের বাড়ির জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পুরনো বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই রাতে কাদির তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়াকুব ও তার ভাইয়েরা মিলে অতর্কিত হামলা চালান। এতে কাদির ও তার খালাতো ভাই আব্দুল কাইয়ুম গুরুতর আহত হন। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। এই তারিখে মামলার বাদী মাওলানা কাদিরের আদালতে উপস্থিতি ঠেকাতে এবং বাড়ি-ঘরের জায়গা দখল করতেই ইয়াকুব এবং তার ভাইয়েরা ছাত্র-আন্দোলনের ঘটনাগুলোর মামলার বাদির সঙ্গে যোগাযোগ করে চাপ সৃষ্টি করে একাধিক মামলায় কাদিরকে আসামি করেছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মাওলানা আব্দুল কাদিরের মা আমেনা বেগম।