• ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে এক ছাত্রকে প্রাণে বাচাঁতে দেশ ত্যাগ, ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ দাবি

admin
প্রকাশিত ১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ০১:৫৮:৪৩
সিলেটে এক ছাত্রকে প্রাণে বাচাঁতে দেশ ত্যাগ, ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ দাবি

নোবেল আহমদ, ছবি-সংগৃহীত।
সিলেট প্রতিনিধি //

ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও দেশ ত্যাগের পরে পিছু ছাড়ছেনা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ছাত্রদের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতন নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর দৃশ্যপট। তৎকালীন সময়ে যে সকল ছাত্র, রাজনীতিবিদ ও আমজনতার বিরুদ্ধে আওয়ামী দুঃশাসন চালিয়েছিল তার প্রেক্ষাপটে বর্তমান ড. ইউনূস সরকার এর প্রতিকার রোধে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ছাত্র হয়রানির বিষয়টি। কারন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে যে সকল ছাত্ররা চক্রান্তমূলক ভাবে মিথ্যা মামলা-মোকাদ্দমায় হয়রানির শিকার হয়েছিলেন সেই বিষয়টিও সামনে আনতে শুরু করেছে। কারন বিগত ১৫ বছরে অগণিত ছাত্র মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। অনেক ছাত্র মামলা-হামলার ভয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন । ওইসব নির্যাতীত ছাত্ররা পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার বদলে তাদের স্থান হয়েছে কারাগারে। এরকম গুরুতর তথ্য অনূসন্ধ্যানে পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সিলেটে এক ছাত্রকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাকে একাধিক গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়। বিগত ১০/০২/২০২০ ইং তারিখে সিলেট সদর কতোয়ালী থানায় মারধর গাড়ি জ্বালাও পোড়াও অভিযোগ এনে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কথিত আওয়ামী গোষ্ঠি একটি মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং-১৩/২০২০। এর আগে একই কায়দায় ঐ থানায় ভিন্ন ধারায় আরেকটি মামলা রুজু করা হয়। যাহার মামলা নং-৪০/২০২০। পরবর্তীতে তিনি আদালত হতে জামিন নিয়ে আসলেও পেছনে তাড়া করে এসব মোকদ্দমা। এতে করে ওই ছাত্রের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

রহস্যজনক হলেও সত্য যে, একাধিক মামলা পর্যলোচনা করে দেখা যায়, সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার খাদিমপুর গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে নোবেল আহমদকে প্রধান আসামি করে আরও দশজনের নাম হুবুহু মিল রেখে মামলা দুটি রুজু করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে কতোয়ালী থানা সংলগ্ন এলাকার শাহজালাল সিটি কলেজের বাহিরে মেইন রোড এর পাশে। নামেমাত্র পাল্টানো হয়েছে মামলার এজাহার। একটি মামলায় অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ-দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২৪ক/১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩৪১/৩২৩/৪২৭ ও অপরটিতে দন্ডবিধি, ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৪ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সিলেট মহানগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার আসাদুর রহমানের ছেলে আব্দুল বারিক বাদী হলেও আরেকটিতে রাষ্ট্র পক্ষের কতোয়ালী থানার এসআই আরাফাত হোসেন নিজে বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ঘুরেফিরে ঘটনার স্থান ও সময় প্রায় মাত্র দশমিনিট ব্যবধান দেখিয়ে হয়রানি করার হীণ উদ্দেশ্যে মামলাগুলো সূষ্ট তদন্ত না করে এজাহারগণ্য করা হয়। বর্তমানে নোবেল প্রবাসে মানবেতর জীবণ যাপন করছেন।

একদিকে তার পরিবারের আর্থিক অনটন অন্যদিকে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্রবাসে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বড় ভাই জুবেল আহমেদ। তিনি প্রতিবেদক’কে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আওয়ামী লীগ দুঃশাসনের ভয় ও ছোট ভাইয়ের প্রাণ বাচাঁতে গিয়ে পড়াশুনা বাদ দিয়ে তাকে দেশ ত্যাগ করতে তারা বাধ্য হন। তিনি বলেন তাদের স্বপ্ন ছিলো তার ভাই লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবে, দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে কিন্তু আওয়ামী দুঃশাসনেরফলে তা আর হয়ে উঠেনি। তিনি এসময় বলেন, অকালেই তার জীবণটা ঝড়ে গেলো। তিনি দাবি করে বলেন, প্রবাসে তার ভাই অতি কষ্টে মানবেতর জীবণ যাপন করছে। তিনি আরো বলেন, এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা থেকে তাকে অব্যাহিত দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সূদৃষ্টি কামনা করা হয়েছিলো কিন্তু কোন কাজের কাজ হয়নি। বর্তমান ড. ইউনূস সরকারের নিকঠ এর ন্যায়বিচার সূদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এবিষয়ে জানতে তৎকালীন কতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জের সহীত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি বছর দু’এক আগেকার তাই তার মনে পড়ছেনা বলেই সংযোগটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল ফোন রিসিভ হয়নি।