নাজনীন আক্তর, ছবি-সংগৃহীত।
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি //
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৯নং-রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই শিশুসহ ৫ সন্তানের জননী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফতেহগঞ্জ গ্রামে বিকেল আনূমানিক দুইটার দিকে।
আহতরা হলেন- ওই এলাকার জুনেদ আহমেদ চৌধুরীর স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী নাজনীন আক্তার (৩২), সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুসন্তান রবিন চৌধুরী ও সাড়ে তিনবছরের শিশু রাজিন চৌধুরী। ঘটনার পর আহত নাজনীন চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে প্রতিকার রোধে সিলেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী জুনেদ আহমদ চৌধুরী। যার মামলা নং-৩০২/২০২৪ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশকে এজাহারগণ্যের নির্দেশ দেন। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন আসামি দুর্বৃত্তকে কানাইঘাট থানা পুলিশ আটক করতে পারেনি।
আসামিরা হলেন-ওই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তামিম আহমেদ (২০), মেয়ে তুলি বেগম (২২), সেলিম মিয়ার স্ত্রী লোবনা বেগম (৩৫) ও মৃত- সাজ্জাদ আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল দুইটার দিকে প্রতিপক্ষের একটি কবুতর নাজনীন আক্তারের হাঁসের খাচা’র উপরে বসার চেষ্টা করলে খাচাটি উল্টে গিয়ে কবুতর ভেতরে আটকা পড়ে যায়। কিন্তু কোনকিছু বোঝার আগেই প্রতিবেশি সেলিম মিয়া সন্দেহের জেরে জুনেদ আহমেদ চৌধুরীর বড় ছেলে রিফাতকে গালিমন্দ ও চরথাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এসময় সেলিম মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরাও এগিয়ে আসে লাঠিসোটা নিয়ে। এদিকে ঘরে থাকা নাজনীন সন্তানের চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তাকেও বেধড়ক দেশীয় অস্ত্র-লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধরসহ প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটানো হয় শ্লীলতাহানী। সাথে সাথেই তিনি অঞ্জান হয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। তখন অবুঝ সন্তানরা মাকে ঝড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করলে তাদেরও চর-থাপ্পড় এমনকি লাঠিপেটা করা হয়। এতে আহত হন শিশু সন্তান রবিন ও রাজিন। হাত-পা ছাড়াও পিটে ও পেটে তাদের দুইজনকে আঘাত করা হয়। মূহুর্তেই সরেজমিন রক্তে রঞ্জিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভূগছেন।
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে জুনেদ আহমেদ’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আদালতে মামলা হওয়ার পর এফ আই আর’র জন্য কানাইঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত। থানার সেকেন্ড অফিসারও বিষয়টি অবগত রয়েছেন। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মামলায় উল্লেখিত স্বাক্ষীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-দমকি দিচ্ছে আসামিরা। এছাড়া বিভিন্ন মারফতে মামলা তোলে নিতে তারা আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছি।
এবিষয়ে জানতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন রিসিভ না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।