ঢাকা //
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণকল্পে দোকান মালিক সমিতি এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত পরামর্শক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এর আগে ১ অক্টোবর থেকে শুধু সুপার শপে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত ছিলো যা যথানিয়মে বাস্তবায়ন করা হবে। কাঁচাবাজারসহ দেশের সব প্রকার বাজার কর্তৃপক্ষ ১ অক্টোবর থেকে নিজ উদ্যোগে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ বর্জন করবে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী আইন প্রয়োগ শুরু করা হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশের সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরে প্লাস্টিকের বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ কেবল পরিবেশের জন্য নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। তাই সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স অ্যান্ড ট্রেড এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু মোতালেব, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ, প্লাস্টিক অ্যান্ড রাবার সু মার্চেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাজী মো. কামরুল হাসান, বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মো. জালাল উদ্দীন-সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি একমত পোষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.