ফাইল ছবি।
মর্নিংসান অনলাইন //
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার মৃত্যুর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) ওপর ভিত্তি করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান করা হলো।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া এবং একই বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান ও একই বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আতিকুজ্জামান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব।
তাদের মধ্যে রাজন মিয়া, রাজু আহমেদ ও হামিদুল্লাহ সালমান শাখা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্যদিকে আহসান লাবিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক।
শামীম আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. এমরান জাহান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম এবং সচিব হিসেবে রয়েছেন জনাব মো. লুৎফর রহমান আরিফ (ডেপুটি রেজিস্ট্রার, উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি)।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.