• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভাতিজার প্রেমে পড়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসলেন চাচি!

admin
প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ০১:০০:৩৩
ভাতিজার প্রেমে পড়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসলেন চাচি!

বগুড়া প্রতিনিধি //


বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভাতিজা রফিকুল ইসলাম রানার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে দুই দিন ধরে অনশনে বসেছেন তার চাচি। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ পুনাইল গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, অনশনরত নারীকে মারধর করে নগদ ২০ হাজার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ও প্রমাণ নষ্ট করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে অভিযুক্ত রানা ও তার পরিবার। ভুক্তভোগী নারীর দুটি সন্তান আছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০টা থেকে উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রানার বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে দেখতে ভিড় করে সাধারণ মানুষ।

রফিকুল ইসলাম রানা (৩২) উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন।

জানা গেছে, ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম রানা তার চাচির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানাজানি হলে ৪ বছর আগে নারী ও তার স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

বিচ্ছেদের ৪ বছর পর ভুক্তভোগী নারী বিয়ের দাবিতে ভাতিজা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় ভাতিজা রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, গত ৪ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে আমরা মাঝে মাঝে থাকতাম। আমার আগের সংসার নষ্ট করেছে বিভিন্ন তালবাহানায়। আমি প্রেমের সম্পর্কে প্রথমে না জড়ালে সংসার ভাঙার হুমকি দিত। একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিন্তু আগের সংসার আমার টেকেনি।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় এখন আমাকে যদি রানা বিয়ে না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমার পরিবার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ঘটনা জানার পর। আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাই বিয়ে করে সংসার করব রানার সঙ্গে।

এ বিষয়ে রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম অবস্থায় বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন। পরে বিভিন্ন ছবির কথা জানালে এডিট বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে আমি বিয়ে করব না। তাতে আমার ফাঁসি হয় হবে।

ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছে। যদি তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকে বা প্রমাণ থাকে ছেলের বিয়ে করাই উচিত হবে।