ছবি-সংগৃহীত।
মর্নিংসান অনলাইন //
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১ হাজার ৪২৩ জন নিহত ও ২২ হাজারের অধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (২০সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক লাইভে এসে এমনটাই জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম।
বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি উৎস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ১৪২৩ জন শহীদের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করতে পেরেছি। তবে এর মধ্যে সংযোজন-বিয়োজন হবে। আমরা ভেরিফিকেশন এবং ভেলিডেশনের কাজটি চলমান রেখেছি। আমরা একটি সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে সক্ষম হবো। এ ছাড়াও ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৮৭ জনের অঙ্গহানি হয়েছে। গুলি লেগে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। ৯২ জনের দুই চোখেই গুলি লেগেছে, দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে।
তারেকুল বলেন, আহতদের তালিকা তৈরির কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আহতদের সংখ্যাও হালনাগাদ হবে। আহতদের নিয়ে কাজ করাটা খুব দুরূহ। কারণ এই সংখ্যাটা বিপুল। এরমধ্যে আমরা যখন হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করি তখন প্রচুর গার্বেজ ডেটা চলে আসে। যারা আন্দোলনে আহত না তাদের নাম চলে আসে। আহতদের শুধু নাম পাওয়া যায়, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। আমরা কিছু ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে তাদের নাম-ঠিকানা উদ্ধার করতে পেরেছি। তারপর যাচাই করতে গিয়ে দেখেছি এদের মধ্যে কিছু আছে আন্দোলনে আহত হননি। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৬০০ জনের বেশি আহতকে আমাদের পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ২ হাজার, সাজেদা ফাউন্ডেশন ৪৫০ জন রোগীর সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে, ১ হাজার ৮০০ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এ সময় সঠিক তথ্য না থাকায় যোগাযোগের অভাবে আহত অনেকের কাছে পৌঁছুতে দেরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সদস্য সচিব বলেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা আগেই ফ্রি করা হয়েছে। কিন্তু এটাই যথেষ্ট না, অনেকের পরিবার টিকতে পারছে না। খাওয়ার টাকা নাই। আমরা যখনই এমন খবর পাচ্ছি সেখানেই বিভিন্ন ডোনার এজেন্সির মাধ্যমে আমরা সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা করছি। হাসপাতালে ভর্তি, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে, গুলি লেগেছে-এমন রোগীদের কাছে আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশন আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেবে। আর্থিক সহায়তার এই বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক, চূড়ান্ত না। কারণ সরকার এবং ফাউন্ডেশন আলাদা।
সরকার আহতদের সহায়তায় একটি নীতিমালা করছে, সেখানে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা, আহতদের ৪ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারের বাইরে জুলাই ফাউন্ডেশন সবসময় চালু থাকবে। সেখান থেকে সহায়তা দেয়া হবে। এর আগে হতাহতদের তালিকা তৈরি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে অন্তত ৬৩১ জন নিহত, ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানানো হয়।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.