জুয়েল চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি //
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম শাখায় ঘুষ ছাড়া নকল উত্তোলন বা কোন কাজ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা রেকর্ড রুম শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ মজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ঘুষ না দেওয়ায় আবেদনপত্র গায়েব করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিন নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর রেকর্ডরুম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে একটি বিবিধ মামলার আরজি, জবাব ও আদেশের নকলের জন্য আবেদন করেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে আবেদনের অগ্রগতি জানতে জেলা রেকর্ড রুম শাখায় গেলে সেখানে কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরীক মোহাম্মদ মজিদ মিয়া একাধিকবার বড় অংকের ঘুষ দাবি করেন। এসময় ভুক্তভোগী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ‘পরে আদায় করে নিবেন বলেও জানান মজিদ। সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর আবারও ওই ভুক্তভোগী রেকর্ড রুমে গেলে মজিদ মিয়া নকলের জন্য ৫০০ টাকা ঘুষ দাবী করেন। তখন ভুক্তভোগী ৩০০ টাকা দিতে চাইলে মজিদ মিয়া রাগান্বীত হয়ে একমাস পর নকল দেওয়ার কথা বলেন। ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে ৪৫০ টাকা দিয়ে নকল উত্তোলনের পর দেখতে পান নকলের সর্বসাকুল্যে সরকারি ফি মাত্র ৫৮ টাকা। যার মধ্যে ৪৪ টাকা তিনি নিজে পরিশোধ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে আব্দুল ওয়াহিদ মিশন নামে অপর এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি গত ১৫ আগস্ট একই মামলার নকলের আবেদন করেন। পরবর্তীতে মজিদ মিয়ার কাছে অগ্রগতি জানতে গেলে তিনি ৩০০ টাকা ঘুষ দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় আবেদন পত্রটি গায়েব করে ফেলেছেন বলে ধারণা তার। তিনিও প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মোহাম্মদ আব্দুল মুহিন বলেন, আমার ভাই গত ১৫ আগস্ট নকলের আবেদন করেন। অফিস সহকারী মজিদ মিয়াকে ঘুষ না
দেওয়ায় আবেদন পত্রটি গায়েব করে ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি বাধ্য হয়ে নতুন আবেদন করে তাদের চাহিদা মতো ঘুষ দিয়ে নকল উত্তোলন করেছি। এখানে টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না। আমি এর প্রতিকার চাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
ঘুষ আদায়ের বিষয়ে রেকর্ডরুম শাখার অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ মজিদ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় যদি কেউ দেয় তাহলে আমার কোন আপত্তি নাই। নিয়ম হচ্ছে ফলিও ও কোর্ট ফি দেওয়ার, স্বেচ্ছায় যদি কেউ ২০০,১০০, ৫০০ দেয় সেটা যার যার ইচ্ছা। কে কি অভিযোগ দিয়েছে সেটি আমি জানিনা। একই বিষয়ে জেলা রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ যেহেতু জেলা প্রশাসক বরাবর করা হয়েছে সেহেতু তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.