ঢাকা //
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অন্য দেশের নাগরিকদের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিক থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, যে কোনো দেশের নাগরিক এই ভূখণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধ করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভিকটিমরা বলেছেন, বিদেশি ভাষা হিন্দিতে তাদের গালি দিয়েছে, কাছে এসে গুলি করেছে। ভিকটিমরা আরও বলেছেন, বিদেশি সৈন্যবাহিনী তাদের ওপর হামলা করেছে।
আমরা এসব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যথারীতি আইন অনুযায়ী, বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে আন্দোলনে আহত প্রায় ৯০০ জনের বেশি রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। এখানে আহতরা বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এখানে পাঁচজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৬৮ জন চিকিৎসাধীন। আমরা আহদের সঙ্গে কথা বলেছি ও তাদের বক্তব্য শুনেছি। আহতদের বিস্তারিত তথ্য তদন্ত সংস্থা আগামী দুই দিনের মধ্যে সংরক্ষণ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহেনা।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.