নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ //
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাইর গ্রামের বাসিন্দা জাহানারা আক্তার। কয়েকদিন আগে গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য সেবা নিতে চিকিৎসকের কাছে এসেছিলেন উপজেলা সদরে। কিন্তু আজমিরীগঞ্জ কাকাইলছেও সড়কের বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গন আর বেহাল দশার কবলে পড়ে স্বাস্থ্য সেবা নিতে এসে উল্টো তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
জাহানারা আক্তার দি ডেইলি মর্নিংসান প্রতিবেদক'কে বলেন, ‘আমাদের এই সড়কটির অবস্থা খুবই লাজুক। বাড়ি থেকে বাজারে গেলে ঝাঁকুনিতে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। একজন সুস্থ্য মানুষ, যেখানে অসুস্থ্য হয়ে যায় সেখানে গর্ভাবস্থায় কিভাবে চলছি বলেন?’
আজমিরীগঞ্জ-কাকাইছেও সড়কটির ৭ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য ভাঙ্গন আর খানাখন্দের কারণে চরম ভোগান্তিতে অত্র ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। প্রতিদিন উপজেলা সদরে চিকিৎসা সেবা, লেখাপড়া, চাকুরীসহ দৈনন্দিন কাজে আসা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এখন নাজেহাল। মালামাল পরিবহনে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয়সহ ভাঙ্গা সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
স্থানীয়রা বলছেন, ২০২২ সালের বন্যার সময়ে পৌরসদরের ভাটী সমীপুর থেকে কাকাইলছেও ইউনিয়নের কালনীপাড়া গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির বেশ
কয়েকটি স্থানে অনেক বড় বড় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। বন্যার পানি নামার পর দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারের কাজ করা হলেও নামমাত্র নিম্নমানের কাজের মধ্য দিয়ে সংস্কার দেখিয়ে সমাপ্ত করা হয়েছে। ‘বিগত মাস দু'এক পূর্বে বন্যায় সড়কটিতে পুনরায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলে পানি নামার পর সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পরে। ইজিবাইক, সিএনজি এবং অন্যান্য গাড়ি চালকরা নিজেদের উদ্যোগে নিজেরাই পকেটের টাকা আর শ্রম দিয়ে সড়কটির বেশ কিছু ভাঙ্গা অংশ সাময়িক চলাচলের জন্য মেরামত করেন। এই ভাংঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়েই চলতে হচ্ছে এখন সবাইকে।
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আকস্মিক বন্যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৩২ কিলোমিটার
সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আহমেদ তানজীর উল্লাহ সিদ্দিকী মর্নিংসান'কে বলেন,
আজমিরীগঞ্জ-কাকাইলছেও সড়কসহ উপজেলার মোট ৩২ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবনাটি গৃহীত হলে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে খুব দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.