নাজনীন আক্তার, ছবি-সংগৃহীত।
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি //
কানাইঘাটে দুই শিশুসহ ৫ সন্তানের জননী আহত হওয়ার ঘটনায় মামলার প্রায় কুড়ি দিন সময় অতিবাহিত হলেও আজো পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে বাদি ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বিবাদীরা। প্রতিবেশি ঘর হিসেবে বিবাদীরা প্রতিদিন রাতে বাদির বসত ঘরে কীভাবে হামলা চালাবে সেই ছক কষছে তারা। এমনটি প্রতিবেদক'কে জানিয়েছেন আহত নাজনীন আক্তারের দিনমজুর স্বামী জুনেদ আহমদ চৌধুরী। তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিবাদীরা স্থানীয় এলাকার কতিপয় শীর্ষ সন্ত্রাসী নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার বসতঘরে বসে পুনরায় হামলা চালানোর ছক কষছে। এসময় বিবাদীদের সঙ্গ দেয় একই ফতেহগঞ্জ গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে জামিল (২৮) ও আব্দুল মুতলিবের ছেলে শিব্বির মোল্ল্যা গং-। স্থানীয় এলাকায় তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও দালাল হিসেবে চিহ্নিত। তাদের এই চক্রান্তের ভয়ে বাদি কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভূগছেন। এদিকে জামিল ও শিব্বিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তেমন কোন ফলপ্রসূ হয়নি।
এবিষয়ে জানতে কানাইঘাট থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোরশেদের সাথে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৯নং-রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই শিশুসহ ৫ সন্তানের জননী গুরুতর আহত হন গত ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। পরবর্তীতে নাজনীন আক্তার এর প্রতিকার ও সুবিচার চেয়ে সিলেট মহামান্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশকে এফ আই আর গণ্যের নির্দেশ দেন। যার মামলা নং ৩০২/২৪। যদিও থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলাটি এফ আই আর করে । কিন্তু রহস্যজনক কারনে মামলার কুড়ি দিন সময় অতিবাহিত হলেও আজও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আসামিরা হলেন-ওই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তামিম আহমেদ (২০), মেয়ে তুলি বেগম (২২), সেলিম মিয়ার স্ত্রী লোবনা বেগম (৩৫) ও মৃত- সাজ্জাদ আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (৪৫)।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.