জুয়েল চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি //
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু যেন নিরব মহামারীতে রূপ নিয়েছে। গত ২৫ দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানিতে ডুবে ৭ শিশু মর্মান্তিক প্রাণ হারিয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার কামড়াপুর গ্রামে মাহিন আক্তার (দেড় বছর) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর লাখাই উপজেলার বামৈই ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে পানিতে ডুবে আপন দুই বোন মারা যায়। ওই দিন বিকাল বেলা সোহাগ মিয়ার মেয়ে ঐশি আক্তার সুষি (৫) ও বর্ষা আক্তার (৪) পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ীর পাশের খালের পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদেরকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বজনগ্রামের বাঙ্গালপাড়া হাটির পাশে জলাশয়ের পানিতে ডুবে বাকপ্রতিবন্ধি আপন দুই বোন মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু বরণ করে।
জানা যায়, ওই দিন বিকেল বেলা সাধু মিয়ার দুই মেয়ে তাহমিনা (১৭) ও সোনিয়া (১৫) নিকটস্থ জলাশয়ে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে তারা দুই জনই পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়রা উভয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এর আগে ৩১ আগস্ট পানিতে ডুবে পাখি আক্তার (৮) ও মাইশা আক্তার (৬) নামে প্রাইমারী স্কুল শিক্ষার্থী আপন দুই বোন মারা যায়। ওই দিন দুপুরে উপজেলার বামৈ গ্রামের পূর্ব বউবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পাখি ও মাইশা বামৈ গ্রামের রমিজ মিয়ার মেয়ে। জানা যায়, দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামে দুই বোন। এক পর্যায়ে সকলের অগোচরে দুইজনই পানিতে তলিয়ে যায়। পরে লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
জেলা বাপা সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।