ক্রীড়া ডেস্ক //
বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছিল কানপুর টেস্ট। বৃষ্টিতে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের অধিকাংশই ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এখনও থামেনি। যে কারণে কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হলো দ্বিতীয় দিন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩৪ মিনিট নাগাদ দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
এর আগে, বেরসিক বৃষ্টিতে কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা পণ্ড হয়। বৃষ্টির কারণে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম থেকে টিম হোটেলে ফেরে ভারতীয় দল। আর সকালে মাঠে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিম হোটেলে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তরাও।
প্রথম দিনে বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। প্রথম দিনে ৩ উইকেটে ১০৭ রান ছিল বাংলাদেশের।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। তবে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির। এরপর ৩ রান ব্যবধানে দলীয় ২৯ রানে সাদমানকেও হারায় শান্তর দল।
আকাশ দীপে রাউন্ড দ্য উইকেট ডেলিভারিতে তৃতীয় স্লিপে তার ক্যাচ নেন জয়সওয়াল। শুরুতে ক্যাচটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। পরে টিভি রিপ্লেতে বোঝা গেছে, বৈধভাবেই জয়সওয়াল ক্যাচটি নেন।
তার বিদায়ের পর ৩৬ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান। আকাশ দীপে রাউন্ড দ্য উইকেটের ফাঁদেই পড়েন। সামনের পায়ে বল লাগলেও একটু লাফিয়ে উঠেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে আকাশের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেওয়ার ইঙ্গিত করেন। পরে তৃতীয় আম্পায়ারের রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলান অনফিল্ড আম্পায়ার।
এরপর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। শেষমেশ তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লাঞ্চ বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
তবে মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। অশ্বিনের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আউট ঘোষণা করলেও রিভিউ নিয়েছিলেন। রিভিউতেও দেখা যায়, উইকেটে আঘাত হানতো বল। ৫৭ বলে ৩১ রান করে ফেরেন শান্ত।
চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন মুমিনুল ও মুশফিক। ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মুশি। আরেকপ্রান্তে মুমিনুলের সংগ্রহ ৪০ রান।
ভারতের হয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেন আকাশ দীপ।