ঢাকা //
ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি শনিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কেমন চাই?’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন।
বদিউল আলম বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল নিজেদের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কোনো রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না হয়।’
সেমিনারে রাজনৈতিক দলের নেতারা তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ বাতিল, সংসদ ভেঙে নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে পুনরায় ভোট করতে হবে।’ এছাড়া তিনি দলীয় প্রার্থীদের জন্য সদস্য হওয়ার শর্তে কমপক্ষে ৩ বছরের বাধ্যবাধকতা প্রস্তাব করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটের কাউকে ডাকা হয়নি, যা একটি বড় অসঙ্গতি।’
এ ছাড়া সেমিনারে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এবি পার্টি সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরসহ আরো অনেকে।