চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি //
হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাটে রঘুনন্দন পাহাড় কেটে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হরিপদ চন্দ্র দাশ ও মোঃ গোলাম সামদানী। এ সময় তারা স্থানীয় ভুক্তভোগী ও জন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বালু উত্তোলন কারীদের নাম সংগ্রহ করেন। তারা জানান, যারা পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করছেন শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে "চুনারুঘাটে সংরক্ষিত বনে বালুখেকোদের তান্ডব" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি টনক নড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের।
জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত রঘুনন্দন সংরক্ষিত বন। এই বনের পাদদেশ দিয়ে বয়ে গেছে গাঁধাছড়া। এইছড়ার পানছড়ি অংশে দীর্ঘদিন ধরে ডজনখানেক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে লাখ লাখ ঘন ফুট সিলিকা বালু। এসব বালু পাচার করা হচ্ছে কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। অবৈধভাবে পাহাড় (টিলা) কেটে বালু উত্তোলন ও পাচার করে অল্পদিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছে বালু সিন্ডিকেট চক্রটি। বিপরীতে পাহাড়ের টিলা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসের জন্য দূর্বিষহ হয়ে উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন। আর এই বালু সিন্ডিকেট চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পানছড়ি এলাকার আসমত উল্লাহর ছেলে আমজত উল্লাহ। তার ভাতিজা সরকারের যুগ্ম সচিব হওয়ায় তার নাম ব্যবহার করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন বালু উত্তোলন। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা-মামলার ভয় দেখায় সে। তার এই বালু উত্তোলন কাজে প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন একই এলাকার সফর আলীর ছেলে মাহফুজ মিয়া, মস্তু মিয়ার ছেলে বাবলু মিয়া, তাজম হোসেনের ছেলে সুজন মিয়া, রফিক মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া এবং তাহির মিয়ার ছেলে সাইদূর রহমান। এসব বালু বিভিন্ন স্থানে পাচারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিমাউড়া গ্রামের সৈয়দ মিয়ার ছেলে কালাম মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া, সবুজ মিয়ার ছেলে বশির মিয়াসহ কয়েকজন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.