ফাইল ছবি।
ঢাকা //
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ৮২ বছর বয়সে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দারও গণমাধ্যমকে এই খবর জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে দুপুর ১টার দিকে মারা যান মতিয়া চৌধুরী। আরিফ মাহমুদ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত মতিয়া চৌধুরীকে সকালে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মতিয়া চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময়ের নেত্রী ও সাবেক এই মন্ত্রী দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।