যুবদল নেতা আবুল হাসিম ছবি-সংগৃহীত।
জৈন্তাপুর থেকে ঘুরে এসে জামাল আহমদ, স্টাফ রির্পোটার সিলেট//
সিলেট জেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলার শীর্ষ যুবদল নেতাকর্মী ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়ের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসিমের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, বিগত মাসখানেক ধরে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন বালু-পাথর মহাল ও টিএস্কো কোম্পানী থেকে যুবদলের শীর্ষ নেতাকর্মীর নাম ভাঙ্গিয়ে আবুল হাসিম হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এছাড়াও তার সঙ্গ দিচ্ছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার নবাগত ওসি এবং শ্রীপুর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)'র কতিপয় অসাধু চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। এমনটি সত্যতা মিলেছে সরেজমিন অনূসন্ধ্যানকালে।
এদিকে প্রতিবেদকের হাতে আসা কথোপকথনের একাধিক রের্কডিং অডিও-ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় বেরিয়ে এসেছে চাঁদা আদায়ের ভয়াবহ চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতে দেখা যায় আবুল হাসিম শ্রীপুর ৪নং রিসোট সংলগ্ন এলাকার বালু-পাথর মহাল থেকে থানা পুলিশ ও বিজিবি তথা দলের নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। আলুবাগাণ টিএস্কো কোম্পানীর ঠিকাধারদের কাছ থেকেও আদায় করছেন বড়ো অংকের হাদিয়া ।
অভিযোগ রয়েছে জৈন্তাপুর গরুর বাজার থেকেও দলের মিছিল-সমাবেশের নাম ভাঙ্গিয়েও হাতিয়ে নেন টাকা কড়ি। সারী ও ফেরিঘাট এলাকার বালু মহাল থেকেও চাঁদার একটি অংশ তার পকেটে ঢুকে। হামলা-মামলার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে রাজি নয়।
এর আগে একই কায়দায় আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এসব এলাকায় চাঁদা আদায় বানিজ্য চালালেও স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পর হাত রদবদল হয়ে চলে আসে কথিত ওই যুবদল নেতা আবুল হাসিমের নিকট। বর্তমানে তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠেছে চাঁদা আদায়ের ত্রাসের রাজত্ব। তার অপর চাঁদাবাজ সঙ্গীরা হলেন- কামাল আহমদ, রাজু, ফারুক, রফিক, ফিরোজ ও আমির উদ্দিন। ওরা চাঁদা আদায়ের টাকা ভাগাভাগি করলেও বড়ো অংকের টাকা দিতে হতো আবুল হাসিমকে। অন্যথায় তাদের উপর চলতো ষ্টিম রোলার। প্রতিবেদকের নিকট এর সত্যতা স্বীকার করেছেন জনৈক ব্যক্তি আমির উদ্দিন নিজে। বালু-পাথর মহালে চলছে তার একা রাজত্ব। অন্তবর্তীকালীন ইউনূস সরকার যখন দেশ ঘটনে মরিয়া ঠিক তখনই কিছু কতিপয় অসাধূ চাঁদাবাজ চক্র মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা যুবদল নেতা যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসিমের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি চাঁদা আদায়ের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন চাঁদা আদায়ের অভিযোগ শুনেছেন কিন্তু এতে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এনিয়ে আমির উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি চাঁদা দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা-উপজেলা বিএনপি শীর্ষ নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে আবুল হাসিম চাঁদা নিতেন। তিনি প্রতিবাদ করতে ভয় পান বলেও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি'র সরকারি মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আবুল হাসিম নামের কাউকে তিনি চিনেন না। তিনি বলেন, কেউ নাম ভাঙ্গালে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
চাঁদা আদায়ের বিষয়ে সিলেট জেলা যুবদল নেতা ও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিনের সাথে মুটোফোন (হোয়াটসআ্যাপ-এ) কথা হলে তিনি বলেন এরকম কোন অভিযোগ তার কাছে নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে চাঁদা আদায়কৃতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তৎপড়তা প্রসঙ্গে জানতে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন রিসিভ না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.