ছবি-সংগৃহীত।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজছিল ইসরায়েল। অবশেষে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায়ই নিহত হয়েছেন তিনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে এই হামাস নেতা কোথায় কীভাবে ছিলেন সেই তথ্য এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার বিবিসি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ার বেশিরভাগ সময়ই গাজায় সুড়ঙ্গে লুকিয়ে কাটিয়েছেন। দেহরক্ষীদের একটি দল তাঁকে ঘিরে রাখত। ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা ব্যক্তিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি।
প্রতিবেদন বলছে, ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সামনাসামনি যুদ্ধ হয় ৬১ বছর বয়সী ইয়াহিয়ার। সেখানে কোনো জিম্মিকে পাওয়া যায়নি। তবে ইয়াহিয়ার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও মেলেনি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের ব্রিগেডের একটি ইউনিট বুধবার রাফাহ অঞ্চলের তাল আল-সুলতানে টহল দিচ্ছিল। ওই সময়ই ঘটেছে ইয়াহিয়ার ওপর হামলার ঘটনা। ইসরায়েলি সেনারা তিন জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে এবং সবাইকে নির্মূল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হলে মরদেহগুলোর মধ্যে একটির সঙ্গে মিল পাওয়া যায় হামাসের নেতার সাথে। ওই এলাকা নিরাপদ করে মরদেহ শেষ পর্যন্ত বের করে ইসরায়েলে নেওয়া হয়।
আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আমাদের বাহিনী জানত না যে, হামাস নেতা সেখানে আছেন। আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইয়াহিয়া হিসেবে চিহ্নিত ওই ব্যক্তি একটি ভবনের মধ্যে একাই দৌড়ে গিয়েছিলেন। একটি ড্রোন দিয়ে অবস্থান নিশ্চিত করার পর তাঁকে হত্যা করা হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইয়াহিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় মারা গেছেন। তিনি একজন কমান্ডার হিসাবে মারা যাননি। এমন একজন হিসেবে ইয়াহিয়া মারা গেছেন, যিনি কেবল নিজের যত্ন নিয়েছিলেন। এটি আমাদের শত্রুদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা।