ছবি-সংগৃহীত।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট //
বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে কথিত যুবদল নেতা আবুল হাশিম। তার এক ভাই তখনকার সময়ে আওয়ামী লীগ দলের একজন শীর্ষ নেতা ছিলেন। সেই সূবাধে তিনি জৈন্তাপুর উপজেলায় দাপটের সহীত চুষে বেড়িয়েছেন। প্রায় তিনবছর পূর্বে তার হাত থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকের এক উপজেলা প্রতিনিধি রেজওয়ান করিম সাব্বিরও। তখন তিনি তার হাতে নির্যাতনের শিকার হন । পরবর্তীতে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ওই সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে এর প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নিজের ভূল স্বীকার করে মধ্যস্থ্যতায় বিষয়টি আপোষ মীমাংসা হয়। কিন্তু থেমে থাকেনি তার নৈরাজ্য।
গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আবারও সে ফিরে আসে আগের ভূমিকায়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে হামলা-মামলা ও নির্যাতনের হুমকি অব্যাহত রাখা বা যে কাউকে হয়রানি করা তার একটি নেশায় পরিণত হয়। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে নিজের অপকর্ম ঢাকতে এমন কোনও কাজ নেই সে করতে পারে না। স্থানীয় এলাকায় গড়ে তুলেছে বড়ো একটি সিন্ডিকেট গ্রুপ। সে নিজেকে বিএনপি'র ত্যাগি নেতা পরিচয় দিয়ে ইতিমধ্যে সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক পদ ভাগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নেতৃত্বের আড়ালে চলছে কৌশলগত অনিয়ম-দুর্নীতি। হামলা-মামলা ও নির্যাতনের ভয়ে তার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোনও সাংবাদিক বস্তু নিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করতে রাজি নয়। এতে করে সময়ের ব্যবধানে জৈন্তাপুর উপজেলায় তার দাপট বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি তার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিভিন্ন অডিও রের্কড ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলেও টনক নড়ছেনা দলীয় উর্ধ্বতন কতৃপক্ষসহ প্রশাসনের। এনিয়ে স্থানীয় এলাকার জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার এসব অপকর্মের লাগাম টেনে ধরার যেনো কেউ নেই।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.