স্টাফ রির্পোটার, হবিগঞ্জ //
সামিউজ্জামান তোহেল একজন উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবক সময়ের প্রতবাদী ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও চিন্তাশীল লেখক। হঠাৎ করে সোস্যাল মিডিয়া থেকে সরে যাওয়ার কারন জানা গেল। সামিউজ্জামান তোহেল এর জন্ম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার গুনই গ্রামে। ২০ বছর বয়সে তার অদম্য চিন্তা ধারণা ছড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের মাঝে। এই বয়েসে " দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজটাকে বদলে দেব" সহ বইও প্রকাশ করেন এই তরুণ। হঠাৎ কোনো এক কালবৈশাখীর ঝড় এসে সবকিছু উলট-পালট হয়ে গেল।বিদায় জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও! এমনই তথ্য প্রমান উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।
তার মা ছুগেরা বেগম একটি ফেসবুক টুইটকে কেন্দ্র করে উটে আসে ভয়ংকর তথ্য..!
ফেইসবুক টুইট বার্তায় তার মা লিখেন আমার ছেলে দেশের বাহিরে আছে অনেক দিন যাবত। এরপর আরেকটি মিথ্যা মার্ডার মামালায় জড়ানো হয় থাকে। এই সমস্ত গাইবী মামালা দিয়ে আমার পরিবার আজ ছিন্ন-ভিন্ন। সব অপরাধ এর বিচার হবে আশাবাদী।
এদিকে সামিউজ্জামান তোহেল এর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেই বাড়িতে তালা ঝুলছে। কিছুক্ষন অপেক্ষার পর, দেখা মিললো তার চাচা আব্দুল মিয়াকে। জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক'কে বলেন ২০২২ সালে শুরুতে কবিরপুর এর নাসির উদ্দিন খানের একটা সাইবার ক্রাইম মামলা ও এলাকার একজন গ্রাম্য প্রতিনিধি রাগিব আলীর ছেলে মেসবাহুল আরফীন আরফন হত্যা মামলায় দেশ ত্যাগ করেন সামিউজ্জামান তোহেল ।
তিনি আরও জানান ২০২২ সালের শেষর দিকে তার মা ও ছোট ছেলেকে নিয়ে ভারতে ছলে যান। তাদের অনেক জায়গা-জমি কিছু গ্রাম্য মাতব্বররা মিলে ভোগ করতেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বরের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয় গুনই গ্রামের মুহি উদ্দিনের ছেলে হাকিম উদ্দিন (২৭) এই মামলায়ও আসামী করা হয় সামিউজ্জামান সহ তার পরিবারের ২ সদস্যকে যাতে করে তারা ভয়ে আর দেশে ফিরতে না পারে।
সামিউজ্জামান তোহেল এর সাথে কোনো যোগাযোগ করতে না পারলেও ফোনে কথা হয় তার মা ছোগেরা বেগমের সাথে। এক প্রশ্নের জবাবে তার মা জানান, এই সমস্ত গাইবি মামলার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা দরকার। এসময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি তার বাবার সন্ধান সহ বেশ কিছু জায়গা-জমি দখল দারদের উচ্ছেদর দাবি জানান। তিনি আশা করেন সকল সংকট কাঠিয়ে পুরো পরিবার আবার একত্র হবে। এবং প্রকৃত দোষকৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি নিশ্চিত করা হবে।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.