
স্টাফ রির্পোটার, হবিগঞ্জ //
হবিগেঞ্জর চুনারুঘাট উপজেলায় চালককে খুন করে টমটম ছিনতাইয়ের মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন ও একজনকে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক মো: ইয়াছির আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া গ্রামের মুসলিম মিয়া (২৪), বানিয়াচংয়ের জাতুকর্ণ পাড়ার এ্যাংরাজ মিয়া ওরফে সোহেল (৩৯) ও মাধবপুর উপজেলার খরকী গ্রামের রুবন মিয়া (৩৫)। এছাড়া চুরির অভিযোগে তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে জাতুকর্ণ পাড়ার রুবেল মিয়াকে (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রুবেল মিয়া পলাতক।
পেশকার তপন সিংহ জানান, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে টমটম চালক আলমগীর মিয়ার (২৬) আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ রুবেল মিয়ার কাছ থেকে টমটমটি উদ্ধারের পর খুনের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়।
পরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে আলমগীর মিয়াকে হত্যার পর তার টমটম ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।
মামলাটি প্রথমে চুনারুঘাট থানার তৎকালীন এসআই মো. শলাই মিয়া ও এসআই আল আমিন তদন্ত করেন। পরে এসআই আব্দুল মোতালেব তদন্ত শেষ করে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দেন।
আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নাকচ করে ৬ মাসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়। মামলায় ২৪ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া শেষে সোমবার রায় দেওয়া হয়।
আইনজীবী হাবিবুর রহমান খান বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এদিকে ৩ জন আসামিকে সাজা পরোয়ানা বলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর একজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। মামলার বাদী হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান।