শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি //
চুরি হওয়া সিএনজি গাড়ী চোরচক্রের কাছ থেকে ফিরয়ে এনে দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগটি মিথ্যে ও বানানোয়াট দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রীমঙ্গল সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত ২১ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল প্রেনক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের মো. রাজা মিয়ার মেয়ে লাইলি আক্তার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, চুরি হওয়া সিএনজি গাড়ি এনে দেওয়ার কথা বলে আমি তার নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছি। এছাড়াও তিনি শ্রীমঙ্গল মেকানিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ মিয়া, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের হবিগঞ্জ রোড গ্রæপ কমিটির সভাপতি কায়ূম মিয়ার নামেও মিথ্যা প্রচার করেছেন। তার এই মিথ্যে প্রচারণার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। লিখিত বক্তব্যে মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রকৃত পক্ষে লাইলি বেগমের সিএনজি গাড়িটি চুরি হওয়ার পর তারা আমার কাছে আসে। আমি তাদেরকে বলেছি ভালো করে খোঁজে দেখো কোথাও সন্ধ্যান পেলে আমাকে বলিও গাড়ী উদ্ধার করতে আমি সহযোগিতা করব।
পরে গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারা আমাকে ফোন করে জানায়, একটি চক্রের মাধ্যমে খবর পেয়েছে, গাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল মিরপুর বাজারে আছে। গাড়িটি টাকার বিনিময়ে চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার করা যাবে। এবং তারা আমাকে তাদের সাথে বাহুবলে যাওয়ার কথা বলে। আমি তাদের কথামতো
আব্দুল্লাহ মিয়া ও কায়ুম মিয়াসহ আমরা মিরপুর বাজারে যাই। এসময় যারা গাড়ি ফেরত দিবে বলে এনেছে। তাদের সাথে কথা হয়। তারা আগে টাকা দিতে বলে, পরে সিএনজি ফেরত দিবে। আমরা তখন গাড়ি না দিলে টাকা দিবনা বলে জানাই। এবং লাইলী বেগমকে আগে টাকা না দিতে বলি। এক পর্যায়ে লাইলী বেগম তার স্বজনদের সাথে কথা বলে ওই চক্রকে আগ্রিম টাকা দিতে রাজি হয়ে যায়। টাকা দেওয়ার সময় আমাকে টাকা গুনে দিতে বলে আমি গুনে দেই। এর পর ওই চক্র গাড়ি এনে দিবে বলে অপেক্ষা করতে বলে চলে যায়। আমরা অপেক্ষার করার পর তারা জানায় আজ গাড়ী দিতে পারবে না। আগামীকাল দিবে। এর পর আমরা ফিরে আসি শ্রীমঙ্গলে। এখন অবদি গাড়িটি ফেরত দেয়নি চক্রটি। এর পর থেকে এ ঘটনায় লাইলী বেগম আমাকে দায়ি করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, সালিশী বৈঠক এমনকি থানায় অভিযোগও করেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি দায়ি নই। আমি কোন টাকা নেইনি এবং ওই চক্রের কোন সদস্য আমার পরিচিত নই। তারা নিজেরাই পরামর্শ করে চক্রের হাতে টাকা দিয়েছে। আমরা শুধু তাদের সহযোগিতা করার জন্য তাদের সাথে বাহুবলে গিয়েছি।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.