ফাইল ছবি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের ওড়িশায় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এরপর এটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাবে। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছেন ভারতের আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।
বার্তাসংস্থা এএনআইকে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, গতকাল বুধবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় দানা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং উত্তর-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের দিকে সরে আসে। দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবটি পড়বে ওড়িশায়। এরপর যাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় বিভাগগুলোতে। কিন্তু দানা উপকূলে আঘাত হানার পর পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের দিকে সরে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে দক্ষিণ ঝারখণ্ডে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। আমরা সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি আজ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশায় প্রথম আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সময় এটির বাতাতের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে।
ভারতের ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বঙ্গপোসাগরে উদ্ভূত প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার আগমন এবং তার জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে ওড়িশার রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
ভারতীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো প্রয়োজন। বাসিন্দাদের নিকটবর্তী ফ্লাড সেন্টারে পৌঁছানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে সময়সীমা বেধে দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
ওই রাজ্যের বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই সমস্ত এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরানো হয়েছে। ভুবনেশ্বরস্থিত বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.