ছবি-সংগৃহীত।
অনলাইন ডেস্ক //
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। তবে নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়।
সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সাক্ষাৎকার নেয় আল-জাজিরা। সাক্ষাৎকারটি রবিবার (১৭ নভেম্বর) সম্প্রচার করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে নিশ্চিত। এমনকি এটি আরো কম হতে পারে। সেটি মূলত নির্ভর করছে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছার ওপর। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ শেষ করা। যদি রাজনৈতিক দলগুলো চায়, আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচন দিতে প্রস্তুত। তবে সংস্কারের কাজও সমান তালে চলছে। পুরো সরকারব্যবস্থার সংস্কার হচ্ছে, এমনকি সংবিধানও পরিবর্তনের পথে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ নতুন কিছু চায় এবং এ কারণে পুরো সরকারব্যবস্থায় সংস্কার আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা জনগণের কাছে জানতে চাইছি- তোমরা কি এখনই নির্বাচনে যেতে চাও নাকি সংস্কার শেষ করতে চাও? সবকিছু জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই করা হচ্ছে।
ইউনূস তার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা যত এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের অনেক কাজ শেষ করতে হবে। আমরা কত দ্রুত রেললাইন স্থাপন করতে পারি তার উপর নির্ভর করে ট্রেনটি তার চূড়ান্ত স্টেশনে পৌঁছাবে এবং এটি রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্যের মাধ্যমে ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দুর্নীতির গভীরে তলিয়ে গেছে। কারণ, গত ১৫ বছর ধরে আমাদের যে ব্যবস্থা ছিল- অব্যবস্থাপনা, অপশাসন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস। সেক্টরে সেক্টর সিস্টেমটি পুনর্গঠন করা হবে। বড় কাজ।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভে প্রায় ১৫০০ জন নিহত হয়েছে। তার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ৩৫০০ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা ভারত থেকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন চাইব। আমি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.