এম.মুসলিম চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি //
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগীর খামার করে সফলতা পেয়েছেন শ্রীমঙ্গলের কলেজ পড়ুয়া জমির উদ্দিন। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের এবং শ্রীমঙ্গল আনোয়রুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ২য় বর্ষের ছাত্র।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা একজন কৃষক। ৫ ভাইয়ের মধ্যে জমির উদ্দিন সবার বড়। তার ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার। সেই লক্ষ পূরণে এবং লেখাপড়ার খরচ যোগাতে গ্রামেই একটি দোকান কোঠা ভাড়া নিয়ে শুরু করেন মুদি ব্যবসা। মুদি ব্যবসার পাশাপাশি তার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০২৩ সালের শেষের দিকে শুরু করেন মুরগীর খামার। প্রথমে তিনি মিশরীয় ফাউমি জাতের ২১শত মুরগির বাচ্চা দিয়ে গড়ে তোলেন লতিফিয়া ফাউমি ফার্ম। ধীরে ধীরে সেই থামারে বাড়তে থাকে মুরগির সংখ্যা। এখন তার ফার্মে সাড়ে ৩ হাজার মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগ রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গবাদি পশুসহ হাঁস মুরগির খামার রয়েছে মোট ৯১৭টি। এরমধ্যে ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে ১৮২টি, সোনালী মুরগির খামার রয়েছে ১৫টি, মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগির খামার ১টি, লিয়ার মুরগির খামার রয়েছে ২৬টি, উদ্যোক্তা জমির উদ্দিন জানান, লেখাপড়ার করে চাকরির পিছনে না ছুটে নিজে স্বাধীন থেকে কিছু করার ইচ্ছা ছিল আমার। অন্যের অধীনে চাকরি করার ইচ্ছে আমার ছিলনা। আমি চাইছিলাম একজন উদ্যোক্তা হতে। অনেক চিন্তা ভাবনার পর আমি মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগির খামার খোলার সিদ্ধান্ত নেই। যার শুরুটা সহজ ছিল না। খামার করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। যা আমার কাছে ছিল না। কিন্তু মনোবল হারাইনি। ভাবছিলাম ঋণ করে মিশরীয় ফাউমি জাতের মুরগি দিয়েই ব্যবসা শুরু করবো। তাই করলাম। প্রথমে কিছু মুরগীর বাচ্চা সংগ্রহ করে ব্যবসা শুরু করে দিলাম।
বর্তমানে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমার খামারটি ভালোই চলছে। এই উদ্যোক্তা আরও বলেন, দেশের জন্য বোঝা না হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ সাবিনা ইয়াসমিন দ্য ডেইলিমর্নিংসান'কে বলেন, আমরা লতিফিয়া ফার্মের সফলতায় বেশ আনন্দিত। বেকার যুবকদের চাকরির জন্য না ঘুরে জমির উদ্দিনের মতো উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। জমির উদ্দিনের মতো উদ্যোক্তা হতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন তার পরামর্শ নিতে।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.