ফাইল ছবি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক আগেই সম্পদের পাহাড় গড়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর সম্পদের পরিমাণ এবার রকেটগতিতে বাড়ছে।
শীর্ষ ধনী হিসেবে নিজের গড়া রেকর্ড ইলন মাস্ক নিজেই ভেঙে চলেছেন এবং তাঁকে আর থামানো যাবে বলেই মনে হচ্ছে না।
৫ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্কের মোট সম্পদে আরও ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত হয়েছে।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার তালিকা অনুযায়ী, তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাস্ক। ট্রাম্পের জয়ের পর টেসলার শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। তাঁর এআই কোম্পানি এক্সএআইয়ের শেয়ারও পেয়েছে রকেটগতি।
এআইতে মাস্কের বিনিয়োগ তাঁর সম্পদের পরিমাণকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে এক্সএআইয়ের শেয়ারের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে এবং পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছে গেছে। এই কোম্পানির ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক মাস্ক।
তকাল শুক্রবার শেয়ারবাজার বন্ধ হওয়ার আগে মাস্কের মোট সম্পদ রেকর্ড ৩২ হাজার ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দেখাচ্ছিল। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
২০২১ সালের নভেম্বরে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৩০ কোটি মার্কিন ডলার।
অনেকে বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর ইলন মাস্কের প্রভাব টেসলার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
এবার নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই খোলাখুলি ট্রাম্পকে সমর্থন ও তহবিলের জোগান দিয়ে গেছেন মাস্ক। মাস্কের প্রভাব এবং তাঁর অর্থনৈতিক সাফল্যে দারুণ খুশি ট্রাম্প তাঁকে নিজের নতুন অধিদপ্তর ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’র প্রধান করেছেন। মাস্কের সঙ্গে আরও একজন প্রধান আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ ফোর্বস সাময়িকীর তালিকা অনুযায়ী, ছয় মাসে মাস্কের মোট সম্পদ ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার থেকে ৩১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ল্যারি এলিসনের চেয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বেশি।