স্টাফ রির্পোটার, সুনামগঞ্জ থেকে //
ভালবাসার স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলও পাষন্ড স্বামী। পরিবারের দ্বিমত থাকা সত্বেও মাত্র ছয় মাস পূর্বে ভালোবেসে সাঈদি চৌধুরী ও রাকিবা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বিবাহের ৬ মাস যেতে না যেতেই সেই ভালবাসার প্রেমিক স্বামীর হাতে লাশ হয়ে ফিরলেন প্রেমিকা স্ত্রী রাকিবা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের আহমাদবাদ গ্রামে। পরে ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘাতক স্বামী সাঈদি চৌধুরীকে আটক করে।
তিনি হলেন, আহমদাবাদ গ্রামের আকলুস মিয়া চৌধুরীর ছেলে সাঈদি চৌধুরী (২১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিবাহের পরে তাদের দাম্পত্য জীবন কিছুদিন ভালো চললেও পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। রোববার সকালে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। এক পর্যায় ঘাতক স্বামী সাঈদি ক্ষুব্দ হয়ে রাকিবাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সরেজমিনে পৌছে তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
নিহত রাকিবা হলেন- জগন্নাথপুর গ্রামের আছান নবীর মেয়ে রাকিবা। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত্য থানায় কোন হত্যা মামলা দায়ের করা হয়নি।
এদিকে নিহতের মা আয়বানু প্রতিবেদক'কে বলেন, প্রায় সময় পরিবারের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা। রবিবার সকালেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। ফোনে সে আমাদের কান্নাকাটি করে এসব বলেছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
এবিষয়ের সত্যতা দ্য ডেইলিমর্নিংসান'কে নিশ্চিত করেছেন, সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক। তিনি বলেন, সাঈদি হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের পরিবারের কেউ অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.