• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-ভারত ইস্যু ইন্টারনাল প্রবলেম: মমতা

admin
প্রকাশিত ০৭ ডিসেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ১৪:১৬:৩৩
বাংলাদেশ-ভারত ইস্যু ইন্টারনাল প্রবলেম: মমতা

ফাইল ছবি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা ইন্টারনাল প্রবলেম হয়েছে। আপনারা সেটা নিজেরা নিজেরা বসে দেখে নিন। ইন্টারন্যাশনাল পূরণে অনেক ফোরাম আছে। কিন্তু নেগোশিয়েশনটা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়। দুই দেশ একে অপরের সাথে কথা বলি। আমার মনে হয় অস্থিরতা কাটিয়ে একটা স্বস্তির পরিস্থিতির মধ্যে আসুক।

ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮- এ দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের সকলের জানার জন্য আগে নিয়ম ছিল পার্লামেন্ট চলাকালীন যদি কোথাও কোনও ঘটনা ঘটত, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার বিদেশেও যেতেন তারা এসে কিন্তু পার্লামেন্টে একটা স্টেটমেন্ট দিতেন। আমি দেখলাম না তো এতদিন ধরে পার্লামেন্ট চলছে, এটার উপরে কোনও স্টেটমেন্ট দিতে। এটা উচিত ছিল। ডিটেলসটা জানান, তাহলে আমরা জানতে পারতাম।’

তিনি বলেন, ‘আমি কেন পিস কিপিংয়ের কথা বলেছি? আমি বলছি এই কারণে, যখনি কোনো দেশে কোনো অস্থিরতা হয় বা শান্তি বিঘ্নিত হয়, তখনই ইউনাইটেড নেশনস এর নিজস্ব একটা পিস কিপিং ফোর্স থাকে। যে ফোর্সে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোক থাকে, তাদের বলা হয় পিস কিপিং ফোর্স। শ্রীলঙ্কাতেও যখন গন্ডগোল হয়েছিল, তখন পিস কিপিং ফোর্স ছিল। কাজেই ইন্ডিয়ার সাথে যদি একান্তই সম্পর্ক খুবই ডিটেরিয়েট করে থাকে, তাহলে ইন্ডিয়া সেক্ষেত্রে ইউএন কে বলতে পারে যে তোমাদের পিস কিপিং ফোর্সকে পাঠাও। অন্তত মানুষ যাতে নিরাপত্তা পায় সেটা দেখুক। কারণ, এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে- যদি কেউ মনে করে সব বাংলাদেশি মানে ওপার বাংলা তা নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়াতে ইন্ডিয়া একটাই ছিল। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত একটাই ছিল। দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেল। পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেল। ভারতবর্ষ আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেল। কিন্তু আপনারা তো জানেন অনেক বাবা আছে তার। বাড়ি ওখানে আবার বিয়ে করেছে। তাঁর বাড়ি এখানে মা। অনেক ছেলেরা আছে। ওখানে ছেলে থাকে। এখানে মেয়ে থাকে যার সাথে বিয়ে হয়েছে। এগুলো একটা বড় প্রবলেম। খেলাধুলা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান থেকে শুরু করে সবকিছু কিন্তু মনে রাখবেন, যেহেতু বাংলাদেশের ভাষা আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতিটা এক এবং ওখানে বিজনেসম্যান অনেক আছে। যারা বিজনেস করেন এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা।’

মমতা বলেন, ‘অবশ্যই এটা জিওগ্রাফিক বাউন্ডারি। কিন্তু আমাদের হৃদয়ের কোনও বাউন্ডারি নেই। আমাদের মনটা কিন্তু একেবারে খোলা এবং ওপেন। আমরা সবাই সবাইকে খুব ভালোবাসি। কাজেই আমি চাই যে আমাদের রাজনৈতিক মতামত যাই থাকুক না কেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা যার প্রতি যাই থাকুক না কেন অন্তত বাংলাদেশ ভালো থাক। ইন্ডিয়াও ভালো থাক। নেপালও ভালো থাক। সুতরাং নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা; এমনকি বাংলাদেশের পাশে মায়ানমার- ইন্ডিয়া বেঙ্গল হচ্ছে গেটওয়ে অফ নর্থ ইস্টার্ন রিজিওন অ্যান্ড গেট ওয়ে অফ সাউথ ইস্ট এশিয়া এবং বাংলা হচ্ছে বর্ডার অব বিহার, ঝাড়খন্ড উড়িশ্যা।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আজ যদি কেউ এখানে নিয়ে এসে আগুন লাগায় তাহলে কিন্তু আগুনটা বিহারের থেকেও বাদ যাবে না। তার কারণ হচ্ছে, যেহেতু আমরা পরস্পর পরস্পরের সাথে জড়িত, আমাদের বর্ডার সবারই এক। আমি চাই না সেটা হোক।’