প্রতীকী ছবি।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট থেকে //
সিলেটে ইসকনের নাম ব্যবহার ও সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্ষা না করে চলছে প্রাক-প্রাথমিক মন্দির ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম। আজ রোববার সিলেটের পুস্পায়ন-৬, রিফাত কমপ্লেক্স, দক্ষিণ বালুচর, এমসি কলেজ রোড, সিলেট অফিসে চলছে এই অনৈতিক কার্যকলাপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক প্রার্থী প্রতিবেদক'কে জানিয়েছেন লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নিতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বেশ কয়েকজন প্রার্থী হাজির হোন দক্ষিণ বালুচর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সিলেট অফিসে। প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পর শুরু হয় মৌখিক ভাইবা পরীক্ষা। যারা ভালো ফলাফল করছে কৌশলে তাদের ফেলে রেখে ''ইসকন'' পন্থিদের নিয়োগ দিচ্ছে বাছাই বোর্ডে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এনিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রার্থীদের মধ্যে। প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, তদবির বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতি চালিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের স্থান করে দিচ্ছে বাছাই কতৃপক্ষ।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই শিক্ষানীতিকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। এরপর থেকে যেমন খুশি তেমন সাজো পরিবেশে শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ৬ষ্ট পর্যায়ে এসে সিলেটের অধীনে ৪টি প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের আহ্বান করে। কিন্তু রহস্যজনক হলেও সত্য যে, প্রতিষ্ঠানটি যথারীতি নিয়ম মাফিক কোন পত্র-পত্রিকায় নিয়োগ প্রদান বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে নিজেদের মতো করে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে দিচ্ছে। এমনটি অভিযোগ করেছেন নিয়োগ নিতে আশা সনাতনী পরীক্ষার্থীরা। তারা আরও জানিয়েছেন চাকরির আবেদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিজেই একটি আবেদন ফরম হাতে তুলে দেয় পরীক্ষার্থীদের। সেই ফরমের ভিত্তিতে নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনা করা হচ্ছে। যদিও পুরো বিষয়টি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় কতৃক পরিচালিত হলেও মানা হচ্ছেনা কোন নিয়মনীতি। এভাবেই চলছে মন্দির ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম। এতে কোন স্বচ্ছতা, জবাব দিহীতা ছাড়াই নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা।
এবিষয়ে জানতে সহকারী প্রকল্প পরিচালক ও সভাপতি, কেন্দ্র শিক্ষক নিয়োগ কমিটি -২ এর দায়িত্বে থাকা কিশোর কুমার মন্ডল মুঠোফোনে প্রতিবেদক'কে বলেন, আমি এখন পরীক্ষার্থীদের বাইভা নিচ্ছি, আমার কাছে এরকম কোন তথ্য নেই। আপনি কিছু জানতে চাইলে ঢাকা হেড অফিস শাহভাগে যোগাযোগ করতে পারেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার নাম্বার আপনে কোথায় পেলেন? বলেই তিনি পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.