মৌলভীবাজার প্রতিনিধি //
কানাডা প্রবাসী বিএনপির তিন বারের সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প নেই। সম্মেলিত প্রচেষ্ঠায় ছাত্র জনতার গণ অভূত্থানে বাংলাদেশ থেকে এক স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর পতন হয়েছে। স্বৈরাচারীনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা গণরোষের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সে জন্য দেশবাসীকে সজাগ ও সদা সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে থাকা সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে স্বৈরাচারের পুনরুত্থান বাংলার মাটিতে আর না ঘটে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নামে দলটি গড়েছিলেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আর এই দলকে কিভাবে আরও জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায় সেজন্য বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করে যেতে হবে ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরলে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতে গেলে ভিআইপি গেটে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন তিনি।
কানাডা হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি কাউন্সিলের নির্বাহী সভাপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে দেশে আগমন উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মহসিন মিয়া মধু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলাল , মাহমুদুর রহমান, মনোয়ার আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা।
ফয়সল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, দমন পীড়ন, ঘুম, খুন মামলা হামলার শিকার হয়েছেন এনিয়ে বর্হিবিশ্বে তিনি সোচ্চার হয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কানাডাসহ ইউএসএ তে দেশে গনতন্ত্র মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের সূচনা করেন। বেগম জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের ওপর মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জন্য কানাডার ৬২ জন এমপি তখন তাদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। বেগম জিয়ার সু চিকিৎসার জন্য কানাডিয়ান মিনিস্ট্রি এন্ড ফরেন এফেয়ার্সের ভাইস চেয়ারম্যান মি: বার্জারেন্ট সরাসরি ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ভুয়া ও ডামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে কানাডিয়ান বাংলাদেশ ককাসের চেয়ারম্যান মি: ব্রেড রেড, ভাইস চেয়ার সালমা জাহিরসহ ককাসের ১২ জন এমপি বিবৃতি দেন। এছাড়া ওয়াশিংটন, অটোয়া বিভিন্ন সেমিনারে ফয়সল আহমেদ চৌধুরী যোগদান করে দেশের মানবাধিকার এবং বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মীদের ওপর দমন পীড়নের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন।