ছবি-সংগৃহীত।
কুমিল্লা প্রতিনিধি //
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পলাতক স্বৈরাচার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের ভবিষ্যৎ তারা নষ্ট করে দিতে চেয়েছিল। মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে। তাই এখনও সম্ভাবনা আছে দেশটাকে রক্ষা করার। এ সম্ভাবনাকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপির কর্মী হিসেবে আসুন আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করার লক্ষ্যে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাই।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন। জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আরও বহু মানুষ জীবন দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দলের নেতাকর্মীরাই বেশি গুম খুন ও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখ নেতাকর্মী মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। এই দলটির কাছেই মানুষ বেশি প্রত্যাশা করে। আমাদের উচিত মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, নিজের কথা ভাবলে হবে না। আসুন আমরা দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করি। নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু দরকার তারপরই আসুন আমরা দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। তাহলে আপনারা দেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রিয় নেতারা আসুন জীবনের বাকি সময়টুকু দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকি।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্ব করা মোটেও ঠিক হবে না। একটি পক্ষ চাচ্ছে নানা কৌশলে নির্বাচনকে বিলম্ব করতে। কিন্তু তা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রাষ্ট্র মেরামত এবং সংস্কারের কাজ নির্বাচিত সরকারের অধীনেই যথাযথভাবে করা সম্ভব হবে।
বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। কুমিল্লা বিভাগীয় এই কর্মশালায় অংশ নেন কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি, মহানগর ও পৌরসভার শীর্ষ নেতারা।
কর্মশালায় আলোচক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া ছেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আক্তারুজ্জামান, সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি প্রমুখ।
সভা শেষে জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীরা আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত হবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন।
মতামত জানান।