সিলেট প্রতিনিধি //
সিলেটে ভূমি খেকো জালিয়াত চক্রের মাফিয়া গডফাদার রতন মনি মোহন্ত ওরফে ব্যাঙি মোহন্ত সহ গং-দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জোর দাবী জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়া তার ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রায় শতজন স্বাক্ষরিত টিপসই দস্তগত দিয়ে প্রতিকার দাবী ও ভূমিখেকোদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) একখানা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং- ওয়ার্ডের ইসলামপুর (মেজরটিলা) নাথপাড়া গ্রামের সাধারন জনগণ রতন মনি মোহন্ত ওরফে ব্যাঙি মোহন্তসহ গংদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন। পাশাপাশি আয় বর্হিভূত রতন মনির প্রায় শত কোটি টাকার সম্পত্তির হিসেব, বিদেশে টাকা পাচার, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব আত্মসাৎ, নির্বিচারে পাহাড় (টিলা) কেটে বিনষ্ট ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকদের ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যে প্রণোদিত মামলায় ফাঁসানোর কথা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
রতন মনিসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের অল্পদিনে গড়ে তোলা পাহাড়সম অবৈধ সম্পদ ও নির্যাতন নিপীড়নের অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয়-স্থানীয় পত্র পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা প্রশাসন। সম্প্রতি এক সাংবাদিককে খুন, গুম করার চক্রান্তে জড়িতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই সাংবাদিক প্রাণরক্ষার্থে এসএমপি শাহপরাণ (রহঃ) থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে তাকে অপহরণের পর শারীরিক নির্যাতন চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে প্রশাসনের চোখকে ভিন্ন খাতে নিতে রতন মনি মোহন্ত তাহার সহযোগী এলাকার কতিপয় দুস্কৃতিকারীসহ ভিন্ন এলাকার লোকজনদের স্বাক্ষর নিয়ে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনার অফিস কার্যালয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা উল্লেখ করেন, টেন্ডার বাণিজ্য, নদী-নালা ভরাট ও ভারতীয় চোরাচালান বাণিজ্যের সহীত সে জড়িত রয়েছে। অভিযোগকারীরা অবিলম্বে রতন মনি মোহন্তসহ তার সহযোগী জীবণ মজুমদার ওরফে জিবলু, ধীরেন্দ্র দেব নাথ নয়নের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানানো হয়।
অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাখার একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মতামত দিন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.