প্রতীকী ছবি।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট //
সিলেটে প্রতারণা ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ পর্যায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এর প্রতিকার চেয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রী শ্রী বিষ্ণু মন্দির, শিব মন্দির ও বিষহরি মাতা মন্ডপের স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগে প্রকাশ, শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে গোপনে ওই মন্দিরের সাবেক শিক্ষক ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র সরকার ও মন্দির কমিটির সভাপতি লিটন মোহন রায় এর কারসাজিতে মহেন্দ্র সরকারের স্ত্রীকে নিয়োগ কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার মন্ডল ও ফিল্ড সুপারভাইজার সুব্রত কুমার দে নিয়োগ দানের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও ওই কমিটি কর্তৃপক্ষ প্রতারণা ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কৌশল অবলম্বন করে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে নেন।
এছাড়াও অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন নিয়োগ পরীক্ষার দিন সিলেটের দক্ষিণ বালুচর এলাকার পুস্পায়ন-৬, রিফাত কমপ্লেক্স, সিলেট অফিস কার্যালয়ে মহেন্দ্র সরকারের স্ত্রী ছাড়াও আরও একাধিক শিক্ষক পরীক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু মহেন্দ্র সরকারের স্ত্রী ইসকন পন্থি হওয়ায় অপর সনাতনী প্রার্থীদের সঙ্গে কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার মন্ডল ও ফিল্ড সুপারভাইজার সুব্রত কুমার দে অসাধাচারণ ব্যবহার করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রায় এক বছর আগে সাবেক শিক্ষক মহেন্দ্র সরকার মন্দিরের শিক্ষকতা ছেড়ে সরকারী চাকরীতে যোগদান করেন। তখন তিনি যথারীতি কেন্দ্র পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া পর্যবেক্ষণ না করে লামসাম ভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করে এসব টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসময় অভিযোগকারীরা দাবী জানান কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শেখনে বাধা সৃষ্টি ও অবৈধ বেআইনি ভাবে মোটা অংকের দুর্নীতি গ্রহণের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রেরিত তালিকা বাতিলসহ অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের।
সিলেট জেলা প্রশাসক অফিস কার্যালয়ের একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
মতামত ব্যক্ত করুন।