স্টাফ রির্পোটার //
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলী-বারঘরিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এদের মাঝে তিনজন মাইক্রোবাসের যাত্রী ও একজন চালক। তারা ওমরাহ থেকে আসা স্বজনদের নিয়ে ঢাকা শহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ের মানিক মিয়ার শিশুমেয়ে রাইছা (১১ মাস), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার দাতমন্ডল এলাকার লুতু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৭৫), একই উপজেলার হরিপুর গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে (মাইক্রোবাস চালক) পাভেল মিয়া (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজলার বুধন্তি গ্রামের রিয়াদ মিয়া (৪০)।
স্থানীয়, হাইওয়ে পুলিশ ও ওসমানী হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফজিলাতুন্নেছার আত্মীয় মাধবপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের রুনা আক্তার, সাফিয়া বেগম ও উনু মোল্লা সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে মঙ্গলবার রাতের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। ঢাকা শহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাতেই মাইক্রোবাসযোগে (ঢাকা মেট্রো চ-১৫-৩১১৩) তাদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন ফজিলাতুন্নেছা ও সঙ্গে যাওয়া স্বজনরা। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের গাড়ি বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলী-বারঘরিয়া এলাকায় আসলে রেজিস্ট্রেশনবিহীন বালুবাহী একটি ট্রাক একটি পিকআপের (ঢাকা মেট্রো ন-২১-৪০৩৬) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাইছা ও রিয়াদ মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় বাকিদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে ফজিলাতুন্নেছা এবং পরে বেলা আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমানীতে মাইক্রোবাস চালক পাবেল মারা যান। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে সিলেট মহানগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অপর ৩ জন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত আহত তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তার হলেন- আবু হানিফ (৪০), রুনা আক্তার (৩৫) ও সাফিয়া বেগম (৬০)।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই পলাশ চন্দ্র দাস বলেন- এখানে আসার আগে দুজন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ মাধবপুর উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
সিলেটে আসার পথে একজন এবং ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। ওসমানীতে নিহত দুজনের ময়না তদন্ত এখানে হবে। নিহতদের পরিবারের লোকজন আসছেন, আসলে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মতামত জানান।