আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
বাশার আল-আসাদের পতনের পরপরই সিরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করে ইসরায়েল। গত সপ্তাহে সীমান্তের বাফার জোন অধিগ্রহণের পর হারমন পর্বতের সিরিয়ার অংশের দখল নেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, তারা স্থায়ীভাবে পর্বতের দখলে থাকবেন না। তবে এমনটা না হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।
গতকাল শনিবার সিএনএনের বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, হারমন পর্বত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি ওই অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু স্থান, যার উচ্চতা ২ হাজার ৮১৪ মিটার। এ পর্বতকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পর্বতের চূড়া থেকে সিরিয়ার রাজধানীর দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। এর অর্থ হলো, এ পর্বতের অবস্থান দামেস্ককে ইসরায়েলের কামানের গোলার সীমার মধ্যে এনে দেয়।
জেরুজালেম ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড সিকিউরিটির পরিচালক ইফ্রাইম ইনবার বলেন, লেবানন, সিরিয়া, ইসরায়েলের দিকে তাকালে এটি এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ স্থান। এ জন্য হারমন পর্বত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল। এর পর ১৯৭৪ সালে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ রেখা প্রতিষ্ঠার চুক্তি করা হয়। এ চুক্তির পর গত ৫০ বছরে সীমিত অভিযান ছাড়া এ রেখা অতিক্রম করেনি ইসরায়েল। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের চুক্তির আর কার্যকারিতা নেই।
তাঁর এই ঘোষণার পর বাফার জোনের সিরিয়া অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আইডিএফ। একই দিন সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে অবস্থিত হারমন পর্বতও দখল করে তারা। নেতানিয়াহুও জোর দিয়ে বলেন, এ দখলদারিত্ব অস্থায়ী। তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের আক্রমণের মতো গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সম্প্রদায়কে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারি না। ১৯৭৪ সালের চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের চিন্তা করা যেতে পারে।
আপনাদের মতামত দিন ও সঙ্গে থাকুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.