আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
লোকসভায় সংবিধানের পঁচাত্তর বছরের যাত্রা নিয়ে আলোচনায় এক তীব্র বক্তব্য রাখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বলেন, আপনি যেখানেই যান, সেখানেই ধর্মে-ধর্মে লড়াই লাগিয়ে দেন। মোদী সরকার দেশের তরুণদের বঞ্চিত করছে এবং আদানি গোষ্ঠীকে দেশের সমস্ত সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘একলব্যের আঙুল কেটে নেওয়ার মতোই মোদী সরকার দেশের যুবকদের অধিকার হরণ করছে। আদানির হাতে সম্পদ তুলে দিয়ে দেশবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বেসরকারিকরণ এবং সরাসরি নিয়োগের ফলে দেশের দলিত, ওবিসি এবং আদিবাসীরা সংরক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে না। তাঁদের অবহেলা করা হচ্ছে। চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া তরুণদের সমস্যা তুলে ধরেও তিনি মোদী সরকারের সমালোচনা করেন।
রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তৃতায় বিজেপি সরকারের ধর্মীয় বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি হাথরসের দলিত তরুণীর ধর্ষণ, মন্দির-মসজিদ বিতর্কের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সংবিধান ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ, জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্যে বাধা দেয়। আপনারা বিদ্বেষ ছড়ান। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেন। সংবিধানে এ সব কোথায় লেখা আছে?”
এছাড়া, রাহুল গান্ধী বিজেপির সঙ্গে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নামও জড়িয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি সাভারকরের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আপনারা যদি সংবিধানকে সম্মান করেন, তবে সাভারকরের অপমান করছেন কেন?’’
রাহুলের এই বক্তৃতার পর, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী নিজে বলেন, ‘‘রাহুল যে অভিযোগ করেছেন আদানি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে তরুণদের বঞ্চিত করা, তা একদম সঠিক।’’ তবে, তিনি এটাও প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আমার বক্তৃতা থেকে আদানি শব্দ মুছে দেওয়া হয়েছে কেন? আদানি কি অসংসদীয় শব্দ?’’
মতামত জানান।