• ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান ঢাবি’র একদল শিক্ষার্থীর

admin
প্রকাশিত ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ১৬:৪৮:৩২
তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান ঢাবি’র একদল শিক্ষার্থীর

অনলাইন ডেস্ক //


তাবলীগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে ‘সংলাপ আয়োজন’ করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাবি ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ আহ্বান জানান।

এই শিক্ষার্থীরা নিজেদের সাধারণ ছাত্র দাবি করেছেন এবং তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই বলেও জানিয়েছেন।

তাবলীগ জামাতের বিবাদ নিরসনে তারা কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিশির আহমেদ তানিম নামে ঢাবির আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বয়ানের অভিযোগ সা’দ (মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দলভী) সাহেবকে নিয়ে এবং সা’দ সাহেবের আমির থাকা না থাকা নিয়ে। এজন্য দুই পক্ষের মুরুব্বিদের সংলাপে আসতে হবে’।

শিশির আহমেদ তানিম বলেন, ‘দুই পক্ষের মুরুব্বিদের মধ্যে যারা নির্ভরযোগ্য, আমরা যাদেরকে মানি.. যদি তারা একত্রিত হয়, তাহলে আমরা দুজন মুরব্বির মধ্যস্থতায়, তাদের বিচারক হিসেবে রেখে সংলাপে বসে একটা সমাধানে আসতে পারি।’

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দাবি করেন, তাবলীগ জামাতের বিভাজনের কারণে মাওলানা সা’দের অনুসারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

এই সংবাদ সম্মেলনে ১১টি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে- সা’দ এবং জুবায়েরপন্থিদের বিরোধের কার্যকর সমাধান, সব পক্ষের অনুসারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দেশব্যাপী উগ্রপন্থা-সহিংসতা-মব জাস্টিস বন্ধ করা, সাংবাদিকসহ মুসল্লিদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে তাবলীগ জামাতের দুটি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সা’দপন্থি’দের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। যা এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষেও গড়িয়েছে।

সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।

সবশেষ মঙ্গলবার কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দলভীর অনুসারীদের নিষিদ্ধের দাবি করেছেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা। সূত্র: বিবিসি বাংলা
মতামত জানান।