ছবি-সংগৃহীত।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট //
আর মাত্র একদিনের পরেই ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক (২০২৫-২৬) নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৮ জন প্রার্থী নির্বাচিত হলেও আরও ৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ প্রার্থী। তবে মিডিয়া পাড়ায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে সভাপতি পদে দাঁড়ানো ‘আধুনিক কাগজ'র সম্পাদক মঈন উদ্দিনকে নিয়ে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় সম বিস্তর অভিযোগ।
জানা গেছে, মঈন উদ্দিন স্থানীয় দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার জগৎ শুরু করেন। পরে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করলেও সম্প্রতি তিনি আধুনিক কাগজের সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু পিছু ছাড়ছেনা তার অনৈতিক কর্মকান্ড। অনূসন্ধ্যানে বেরিয়ে এসেছে এসব ভয়াবহ তথ্য। ইতোমধ্যে তার ও সহযোগী সঙ্গীদের মুখোশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবকে আওয়ামী লীগের আস্তানায় পরিণত করা হয়। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় গড়ে তোলা হয় সিন্ডিকেট একনায়কতন্ত্র প্যানেল। সেই প্যানেলের ভোট দিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেছে ওই সিন্ডিকেট নামধারী কতিপয় কথিত কিছু সাংবাদিকরা। তাদের মারপ্যাচে পড়ে জিম্মি দশায় অনেক সাংবাদিক ভোট প্রদানও করেছেন। সত্য মিথ্যা যাচাই বাচাই না করে বিরোধী দলকে বেকায়দায় ফেলতে কলম চালিয়েছেন যেমন ইচ্ছে তেমন। এককথায় বহুরূপী মঈন জজমিয়া নাটক সাজাতে পিছপা হয়না।
জামায়াত, বিএনপি ও ইসলামি দলগুলোকে চাঁদাবাজ, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, অগ্নি সন্ত্রাস ও বোমাবাজ ট্যাগ লাগিয়ে আওয়ামী লীগের পা চাটা গোলামী করেছেন। এর মূল গডফাদার হলেন মঈন উদ্দিন। এসময় তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আরও দুই তিনজন প্রভাবশালী কথিত সংবাদকর্মী। ওরা সাধারণ ভোটারদের সরলতার সুযোগ নিয়ে এখন জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। তাদের পদচারণায় অন্যান্যরা বেকায়দায়। বরাবরের মতো ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে খোলস পাল্টিয়ে একই পথ অবলম্বনের অপচেষ্টা করছে মঈন উদ্দিন ও তার সহযোগীরা। বিগত বছরগুলোতে তাদের এই অপকর্মের কারনে মুলধারার ৩-৪ জন সিনিয়র সাংবাদিক স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব থেকে নিজেদের আড়াল করে নিয়েছেন। অনেক বস্তু নিষ্ট সিনিয়র বাঘা বাঘা সাংবাদিকরাও তাদের প্যানেল কর্মকান্ডে বিরক্ত। এর প্রধান কারন ছিল ওই প্যানেল মার্কা গ্রুপ। বর্তমানে তারা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে সেই পুরনো পথ বেছে নেওয়ার ধান্দা করছে। এছাড়া হাতে গুনা নিয়মিত কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া সম্পৃক্ততা নেই অনেকেরই। একই দুরাবস্থা আধুনিক কাগজের মঈন উদ্দিনের। নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন মঈন!
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিতে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে উল্টো সংবাদও পরিবেশন করিয়ে নিজেকে হিরো বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রেসক্লাব নির্বাচনকে সামনে রেখেও তিনি একই কৌশল অবলম্বনে মেতে উটেছেন। তিনি ভোট ভাগিয়ে নিতে এরকম আয়োজনের ব্যবস্থায় লিপ্ত। তবে এটাও সত্যি যে ‘আধুনিক কাগজ' নামে যে পত্রিকাটি বের হয় যা বর্তমানে অনিয়মিত। অথচ সেই পত্রিকার পরিচয়ে তিনি সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির পদে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন। এটা নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রেসক্লাবের সংবিধান পরিপন্হী কি না বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ? এনিয়ে চলছে সাংবাদিক মহলে গুঞ্জণ।
নির্বাচনকে সামনে রেখে মঈন উদ্দিন ভোট পাওয়ার আশায় জজ মিয়া নাটক সাজাচ্ছে না আওয়ামী তকমা পাল্টিয়ে অপর প্রার্থীকে হারাতে এই কৌশল হাতে নিয়েছে পুরো বিষয়টি সবাইকে ভাবাচ্ছে। কারন নির্বাচনের দুএকদিন আগে প্রেসক্লাবে থাকা ভোটারদের লোক দেখানো তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে বৈতরণী পাড়ি দেয়ার ফন্দি আটছে কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা। সেখানে সে নিজেই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। প্যানেল ভোটারদের ধরে রাখতে ও অন্যান্যদের বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে কাজ করছে যা বলাবাহুল্য। নির্বাচনে জয়ী হতে এসব মায়া কান্না কতদুর গড়াবে হয়তোবা কেউই বলতে পারছেন না।
নিয়মিত সংবাদ পড়ুন ও আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.