লগো ছবি-সংগৃহীত।
বিশেষ প্রতিনিধি //
শত জল্পনার পর রাত পোহালেই সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচন। আগামীকাল শনিবার সকাল থেকেই শুরু হবে এই ভোটাধিকার প্রয়োগ। এ নিয়ে আবার সংশয় বিরাজ করছে সিনিয়র-জুনিয়র মুলধারা পর্যায়ের সাংবাদিকদের মধ্যে। আওয়ামী শাসনামলে গড়ে তোলা প্যানেল’র নেতৃত্বদানকারী মঈন, সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারি এখনও মাঠে জোর লোবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্যানেল গ্রুপকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারি অল্প সময়ে বনে গেছেন পাহাড় সম সম্পত্তির মালিক। অবৈধ পন্থায় গড়ে তোলেছেন এসকল সহায় সম্পত্তি। গোয়েন্দা সংস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র নজরদারি এড়িয়ে আবারও তারা সেই পুরনো চেহারায় মাঠে ফেরার অপচেষ্টা করছে। পুনরায় তারা তাদের মন মতো অযোগ্য প্রার্থীদের প্রেসক্লাব নির্বাচনে জয়ী করে আনার মিশনে ব্যস্থ্য।
সূত্রটি আরও জানায়, আওয়ামী লীগের এই কতিপয় কথিত দোসররা অতীতেও একই কায়দায় লোক দেখানো নির্বাচন ব্যবস্থার আয়োজন করেছে। বর্তমানে আওয়ামী দোসররা নিজেদের আত্মরক্ষায় খোলস পাল্টিয়ে প্যানেল গ্রুপের ছায়া তলে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছে। তারা দায়িত্বকালীন সময়ে নিজেদের পাকাপোক্ত করতে অন্তত প্রায় ৪০ জন ভোটার সদস্য তৈরী করে। তৎকালীন সময়ে তাদের সঙ্গে সৎ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে যে বা যারা পাল্লা দিতে আসত তাদের কপালে জুঠতো বৈষম্য সৃষ্টি আর ভোট বিহীণ বাক্স। প্যানেল গ্রুপদের গুমের ঘরে রেখে কৌশলে তারা হাতিয়ে নিত এসব ভোট। এরপরে জেলা প্রেসক্লাবের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করত তারা নিজেই। আওয়ামী শাসনামলে দেশ বিদেশ পরিদর্শনের সুযোগ করে নিয়েছিল ওই কুক্ষিগত ভদ্রবেশি সিন্ডিকেট গোষ্ঠি। উচ্চ পর্যায় প্রশাসনের কোনও নিমন্ত্রণ/চিঠি আসলে মুলত তাদের হাতেই থাকতো সেই রিমট কন্ট্রোল। অনেক সময় ফোন কলেও কাজ ছেড়ে থাকতেন।
ওই সূত্রটি আবার ভিন্ন মত পোষন করে জানায় এবার সেই প্যানেল নড়েছড়ে বসেছে। নিত্য নতুন পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ভোটাররা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও প্যানেল গডফাদাররা আগের ভুমিকায় কাজ করলেও তাদের অনিয়ম দুর্নীতির খতিয়ান ভোটারদের সম্মূখে কিছুটা হলেও ধরা পড়েছে। এবারের নির্বাচনে তারা পরিচ্ছন্ন প্রার্থী বেছে নিতে পারেন। এসময় তারা জানান, সংবাদকর্মীদের মধ্যে প্রতিহিংসা বিভেধ ও গ্রুপ সৃষ্টি করায় পুরো সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তাদের মতে এ থেকে উত্তরণ পেতে হলে এই নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি অনিয়ম দুর্নীতিকারীদের মুখোশ উন্মোচনে সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
এদিকে সরেজমিন অনূসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কয়েকজন সংবাদ কর্মীর উপরে মোকদ্দমা ঝুলছে। কিন্তু অদৃশ্য কারনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের বিরুদ্ধে কোন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা। এই নির্বাচনে এর একটি বড়ও প্রভাব পড়ছে। এতে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী অপরাধী ব্যক্তিরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে। ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের পর ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষতায় আসলে এসকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও রহস্যজনক কারনে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের এই কতিপয় কথিত সংবাদকর্মীরা থেকে যাচ্ছে আইনের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
নিয়মিত সংবাদ পড়ুন ও আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।