• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনতে ও বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

admin
প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২৪ ১৭:২৫:১৬
রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনতে ও বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

ঢাকা //


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সম্পূর্ণ অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট তার পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ সহযোগিতা চান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব সরওয়ার আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ফিলিপাইনের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন, বাকি অর্থও যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই ফিলিপাইনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে খুবই গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে যৌথভাবে কাজ করার কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, ঔষধ, মাঝারি আকৃতির সমুদ্রগামী জাহাজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য আমদানি করতে ফিলিপাইনের প্রতি আহ্বান জানান। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ফিলিপাইনের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশকে ‘আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ নির্বাচিত করতে ফিলিপাইনের সমর্থন কামনা করেন। নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করবেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
মতামত জানান।