স্টাফ রির্পোটার, হবিগঞ্জ //
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া নুরানী জামে মসজিদ ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গোপায়া গ্রামের মোঃ মোতাকাব্বির তালুকদার সাস্তু বাদী হয়ে মৃত আবু মিয়ার পুত্র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোঃ আক্তার (৫০), মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র ক্যাশিয়ার মোঃ আব্দুল মজিদ মতি মিয়া (৪০) ও সদস্য বাতাসর গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর পুত্র মোঃ জহুর আলী (৬২) কে আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় গত ০৭ জানুয়ারি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ বৎসর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ সুবাদে বাজার ও মসজিদ কমিটির টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে সাবেক সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মতিন খানের রচিত সংবিধান গায়েব করে প্রভাব বিস্তার করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্টানকে মনগড়া ভাবে পরিচালনা করছেন। ১৮ বৎসরে কোন প্রকার সঠিক হিসাব (কার্য্যকরী কমিটির) নিকট প্রদান না করে আত্মসাত করেছেন।
এবিষয়ে হিসাব দাখিল করার জন্য মোঃ মোতাকাব্বির তালুকদার সাস্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের চাপ দেন এবং কার্যকরী কমিটির মিটিং আহ্বান করার জন্য বারবার তাগিদ দেন। চাপের মুখে সাধারণ সম্পাদকের ছাপানো ও স্বাক্ষরিত ভাউচার বিহিন ২ বছরের একটি মনগড়া বার্ষিক প্রতিবদন ও হিসাব সমিতির কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।
দুই বৎসরের প্রতিবেদন ও হিসাবে উল্লেখ করা হয় বিগত ১২/০৫/২০২৪ইং তারিখে উপজেলায় খরচ বাবদ আশি হাজার টাকা, ০৯/০৫/২০২৪ইং থানায় খাসি বাবদ চৌদ্দ হাজার পাঁচশত টাকা, ০৭/০৫/২০২৪ইং ডিসি অফিস বাবদ তিন হাজার টাকা, ০৬/০৫/২০১৪ইং তারিখ মাঠ পরিদর্শন বাবদ দুই হাজার টাকা, ০৭/০৫/২০২৩ইং উপজেলা অফিসে খরচ চার হাজার তিনশত টাকা, ১৫/০৫/২০২৩ইং সদর থানা বাবদ দশ হাজার টাকা, ১৬/০৫/২০২৩ইং এসিল্যান্ড অফিস বাবদ তিন হাজার টাকা, ১৭/০৫/২০২৩ইং ডিসি অফিস বাবদ দুই হাজার সাতশত টাকা, ২০/০৫/২০২৩ইং উপজেলার ফান্ডে পচাত্তর হাজার টাকা, ৩০/১১/২০২৪ইং আব্দুল মালেক এর নিকট পাওনা পঞ্চাশ হাজার টাকা, গরুর বাজার বাবদ সেলিম এর কাছে পাওনা দুই লক্ষ এক হাজার টাকার একটি হিসাব দেয়া হয়। যা সম্পুর্ন বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। অথচ গায়েবকৃত সংবিধানে উল্লেখ ছিল যে, কোন সংকটময় মুহুর্তে সভাপতি/সেক্রেটারী ৫,০০০ টাকা খরচ করতে পারবেন। প্রতি দিনের আয় পরদিন সভাপতি/সেক্রেটারীর নামে যৌথ হিসাব গ্রামীণ ব্যাংক গোপায়া শাখায় জমা প্রদান করা হবে। এছাড়াও ১নং আসামী কর্তৃক দাখিলকৃত উল্লেখিত প্রতিবেদন ও হিসাবের প্রতিটি ব্যয়ের খাতই তার মনগড়া এবং অসামাঞ্জস্যপূর্ন ।
প্রকৃতপক্ষে উক্ত বাজার ও মসজিদ কমিটির বাৎসরিক আয় বার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দুই বৎসরে পঁচিশ লক্ষ টাকা এবং উক্ত দুই বৎসরে মসজিদের ২য় তলার ছাদ নির্মাণ সহ খরচ হয়েছে পনের লক্ষ টাকা। সাধারণ সম্পাদক সহ বাজার ও মসজিদের দশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন। এহেন অবস্থায় বিগত ১৮ বৎসরে ১নং আসামী অন্যান্য আসামীদের সক্রিয় সহযোগিতায় প্রায় এককোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।