দ্য ডেইলিমর্নিংসান অনলাইন //
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছয়জনের বেওয়ারিশ মরদেহের সন্ধান পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানবিষয়ক সেল। প্রাথমিকভাবে শাহবাগ থানা বলছে, মরদেহগুলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের। তবে মরদেহগুলোর পরিচয়, মৃত্যুর সময়, তারিখ জানা যায়নি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেল সম্পাদক হাসান ইনাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেল তাদের অনুসন্ধানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছয়টি অশনাক্তকৃত মরদেহ আছে বলে জানতে পারে।
গতকাল (শুক্রবার) সকালে সেলের একটি টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য শাহবাগ থানায় যায়। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর ছয়টি মরদেহ এখনও হিমাগারে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেন। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে আছে বলে তিনি জানান। বিশেষ সেল টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে গিয়ে সরেজমিনে মরদেহগুলো পরিদর্শন করে।
হাসান ইনামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মরদেহগুলোর কেবল বয়স নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজনের নাম জানা গেছে। ওই ব্যক্তির নাম এনামুল (২৫)। মরদেহগুলোর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী। পুরুষ পাঁচজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। নারীর বয়স ৩২ বছর।
লিখিত বক্তব্যে হাসান ইনাম বলেন, মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু’। এনামুলের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘ওপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু’ লেখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মৃতদেহগুলোর ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃতদেহের পরিহিত আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সবগুলো মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক হিমাগারে রক্ষিত আছে। শাহবাগ থানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মরদেহগুলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের। তবে কবে এবং কয় তারিখে তারা মরদেহগুলো এনেছে সেটা স্পষ্ট করেনি।
অজ্ঞাত এইসব মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তর্বতীকালীন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে এই বয়সের কেউ যদি নিখোঁজ থাকেন, তাহলে তার পরিবারকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে এই সেল।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে তথ্যগুলো দিয়েছি। ছয়টি মরদেহ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করেছি।
নিয়মিত সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.