ছবি-সংগৃহীত।
দ্য ডেইলিমর্নিংসান অনলাইন //
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অর্থের বিনিময়ে বড় বড় প্রকল্প ও কাজ দেয়া ছিল তার সরকারের মূলনীতি। সেই সময় পাচার করা অর্থ এখন বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন শফিকুল আলম।
জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। গণমাধ্যমের ভাষা ব্যবহার করে তখন শাসকদের কাছে বার্তা দেয়া হচ্ছিল এ আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তাহলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো, আর তখন ন্যারেটিভ হতো যে কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।
সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবে কারা কী ভূমিকা রেখেছে তা আমরা আরো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করবো। এজন্য তিনি সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানান।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলন নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, কারা কী ভূমিকা রেখেছে, তা আমরা আরো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করবো। তাই সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানান শফিকুল আলম। লেখালেখি আমাদের জাতিগত দুর্বলতা। অথচ আন্দোলনের ঘটনাগুলো ডায়েরিতে সংরক্ষণ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যদি আরো এক মাস সময় পেত তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখতে হতো। যেখানে টার্গেট হতো শিক্ষক-সাংবাদিকরা। ফ্যাসিস্ট সরকার থাকলে যুবকদের চাকরির অধিকার হরণ করতো।
আপনাদের মুল্যবান মতামত প্রকাশ করুন।