কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি //
শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বৈষম্যমূলক চুক্তি করেছিলেন। এখন তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত আবারও ব্যবসার জন্য তাদের জায়গা থেকে কথা বলছে। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে কেউ অন্যায় করলে আমরা মেনে নেব না।
গতকাল রোববার বিকেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুরমা চা বাগান মাঠে চা শ্রমিক সমাবেশ এসব কথা বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আগামীতে কেউ যদি সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি করে আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করবেন। মনে রাখবেন, যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম। আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো তারা পালিয়ে যাবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, চা-শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে এ শিল্পের উন্নয়ন করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, চা-শ্রমিকদের মুজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি চা শিল্পকে রক্ষায় ন্যাশনাল টি কোম্পানিসহ (এনটিসি) বন্ধ সব চা-বাগান অবিলম্বে চালু করতে হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরির সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক আপন বোনার্জি রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জেনি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খান, চা-শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা-শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখ। পরে সারজিস আলম শ্রীমঙ্গল পৌর শহীদ মিনারে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
মতামত জানান।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.