• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সংকটময় অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

admin
প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৫ ২০:১৩:০৪
সংকটময় অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

ফাইল ছবি।
অর্থনৈতিক রির্পোটার //


চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সংকটের মুখোমুখি হবে দেশের অর্থনীতি।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণসেবা ব্যয়ের চাপসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণ এই সংকটের জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। কিন্তু ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের অর্ডার কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। দেশের মূল্যস্ফীতি ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

এদিকে রাজস্ব ঘাটতির কারণে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরো বেশি সংকটে পড়ছে।

সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য কয়েকটি সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে আছে রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে অর্থনীতির গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা যায়। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে স্বল্পমেয়াদে সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ প্রয়োজন।

মতামত জানান।