বিনোদন প্রতিবেদক //
ভারতের জনপ্রিয় নায়ক সাইফ আলী খানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ (৩৫) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মো. রুহুল আমিন ফকির।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পিতা মো. রুহুল আমিন ফকির তিনি একসময় খুলনা মিলে চাকুরি করতেন। তিন ছেলের মধ্যে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ দ্বিতীয়। তবে অনেক দিন থেকে পরিবারের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ ছিল না।
থানা সূত্রে জানা যায়, শেহজাদ নলছিটি থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার পর তিনি এলাকা আত্মগোপনে ছিলেন।
শেহজাদ এর ছোট ভাই মো. সালমান ফকির জানান, তার মেজো ভাই শেহজাদ মোটরসাইকেল চালক রফিকুল হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পরে ভারতে পালিয়ে যায়। এর আগে দেশে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। তবে সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে তার সঙ্গে পরিবারের কোন যোগাযোগ আছে কি না সে জানেন না।
তার প্রতিবেশী রহিমা আক্তার ও রিন্টু হাওলাদার জানান, তার চলাফেরা একরোখা ধরনের ছিল। কোন কাজ করলে কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতো না। যে কারণে সে বহুবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। খুব কম বয়সে সে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিল তবে তার সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। জানা মতে তার কোনো সন্তানও নেই। চুরি, ছিনতাই, হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বিরুদ্ধে। সে লেখা পড়া করেনি। এলাকায় একাধিকবার বিভিন্ন কারণে জনতার হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছে। এছাড়া পরিবারের অজান্তে বেশ কয়েকটি বিবাহও করেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তার বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেন, আমাদের সঙ্গে শেহজাদের কোনো যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে আটক হয়েছে। সে কবে, ভারত গেছে সেটাও আমরা বলতে পারিনা।
মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লারহাট স্টিল ব্রিজের কাছে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় শেহজাদকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পরে সে এলাকা ছেলে আত্মগোপনে চলে যায়।
নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালাম জানান, আমাদের কাছে এখনো কোন বার্তা আসেনি। তবে শেহজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় এবং ঢাকায় হত্যা মামলা রয়েছে। সে ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আছে।
সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.