• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীমঙ্গলে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষে সফল হলেন চাষি

admin
প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি, বুধবার, ২০২৫ ১৮:১৫:৩৫
শ্রীমঙ্গলে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষে সফল হলেন চাষি

এম.মুসলিম চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি //


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বেলে মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষে সফলতা পাওয়া গেছে।

কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে শ্রীমঙ্গল উপজেলার খলিলপুর গ্রামে পরীক্ষামূলক ভাবে এ চাষাবাদ করে আশানুরুপ ফলন পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, শুধু গ্রীষ্মকাল নয় এ জাত থেকে ১২ মাসই ফলন পাওয়া সম্ভব। এবার পুরো জেলায় তা ছড়িয়ে দেয়া হবে। মৌলভীবাজারে সাধারণত শীতকালেই পেয়াজ চাষ হয়। তবে তা ব্যাপকহারে বানিজ্যিক ভাবে হয় না। গত বছরের অক্টোবরের শেষে লাল তীর সীড কোম্পানীর কাছ থেকে গ্রীষ্মকালীণ এলটি হাইব্রিড বিজিএস ৪০৩ ও রেড হিল নামে দুটি জাতের পেয়াজ বীজ রোপন করেন শ্রীমঙ্গলের খলিলপুর গ্রামের রায়হান আহমেদ।

কৃষক রায়হান আহমেদ জানান, গ্রীষ্মকালে রোপনের জন্য তিনি এই দুই জাতের চারা এনে রোপন করতে চেয়েছিলেন। বৃষ্টির কারনে ও মাঠ ঠিক না হওয়ায় তিনি অক্টোবরের শেষে তার বাড়ির পাশে তিন শতাংশ জমিতে পৃথক পৃথক ভাবে দুটি জাত রোপন করেছেন। নভেম্বরের চারা গজাতে শুরু করে। জানুয়ারীতে এসে ফলন হয়।
তিনি জানান, এটি রোপনের পর তেমন কোন পরিশ্রম করতে হয়নি। পোকারও কোন উপদ্রপ পাননি। তবে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এই এলাকায় সাধারণত আমরা শীতকালীন সবজী চাষ করি। এই প্রথম আমি গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষ করেছি। এবং ফলন ভালো পেয়েছি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আলাউদ্দিন জানান, মুলত বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে সেপ্টেম্বর এর বীজ রোপন করেন অক্টোবরের শেষে। জানুয়ারীতে এসে তিনি এর ভালো ফলন লক্ষ্য করেন। তবে দুটি জাতের মধ্যে বিজিএস ৪০৩ ভালো ফলন এসেছে। পেঁয়াজ অন্যান্য ফসলের থেকে লাভজনক এবং এর উতপাদন খরচও অনেক কম। তাই এটি ব্যাপক হারে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারলে দেশে পেয়াজ আমদানী কমবে।

লালতীর সীডের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিকভাবে গ্রীস্মকালীন পেয়াজ চাষাবাদ হয় নি।এই প্রথম এর বাম্পার ফলন লক্ষ করা গেছে।
তিনি বলেন, প্রতি শতক জায়গায় ৩০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয় এবং তিন মাস এর ভিতরে ফলন আসে। আর পেয়াজ গুলোর ওজন হয় ১৫০-৩০০ গ্রাম।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ দ্য ডেইলিমর্নিংসান’কে জানান, এটি ভালো একটি লক্ষণ। গ্রীষ্মকালীণ পেয়াজ বিলম্বে রোপন করে ভালো ফলন পাওয়ায় আশা করা যাচ্ছে এ জাতটি ১২ মাসই ফলন দিবে। এ বিষয়ে মাঠ দিবস করে এর ফলনের কথা এই এলাকার সকল কৃষকদের জানান দেয়া হয়।

মতামত ব্যক্ত করুন।