ঢাকা //
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে লে. জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক মতবিনিময় করেছেন।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের বিচার বিভাগের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিফেন্স কলেজের আমন্ত্রণে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের বাংলাদেশী ও বিদেশী সামরিক কর্মকর্তা এবং যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের বেসামরিক কর্মকর্তাদের জন্য পরিচালিত একটি কোর্সে রিসোর্স পারসন হিসেবে অভিভাষণ দেন।
প্রধান বিচারপতি তার অভিভাষণে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে কোর্সে অংশ নেওয়া উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের ধারণা দিয়েছেন।
তিনি তার বক্তব্যে এই ভূখন্ডের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উদ্ভব ও বিকাশ, আইনের বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক বিষয়, বাংলাদেশের আদালত ব্যবস্থাপনা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের ভূমিকা, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দেশের উচ্চ আদালতের ‘জুডিসিয়াল অ্যাক্টিভিজম’সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত রোডম্যাপের বিস্তারিত রূপরেখার কথাও তিনি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের কাছে তুলে ধরেন। তার দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যে ওই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি সম্পর্কেও তিনি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা দিয়েছেন।
উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনয়নে তার উদ্যোগে প্রণীত জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলেও জানান।
প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে তার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল সক্রিয় রয়েছে মর্মে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। বিচার বিভাগে কার্যকর পৃথকীকরণে ও বিচার সেবা সহজীকরণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা বস্তবায়নে তিনি বদ্ধপরিকর রয়েছেন।
সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.