ঢাকা //
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকারীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই অপারেশনের মূল নেতৃত্বে রয়েছে পুলিশ বাহিনী, যাদের সহায়তা করছে সেনাবাহিনী।
তিনি জানান, ছয় মাস আগে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সে সময় পুলিশ বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়, যার ফলে বাহিনীর মনোবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ নিচ্ছি। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ তারই অংশ। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও পরিবেশের দিকগুলো বিবেচনায় রেখে আমরা কাজ করছি।”
তিনি আরও জানান, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্ব নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীর যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে, সেসব দেশ পরাজিত শক্তিকে রাখেনি। কিন্তু আমরা অতটা অমানবিক হতে পারিনি। তিনি বলেন, আমরা বাহিনীটিকে সংস্কার করতে চেয়েছি। পুলিশের কেউ ভয়ে এবং চাপে পড়ে অন্যায় করেছে৷ কিছু যারা ডাই-হার্ড ছিল, তারা পালিয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ তিনি আরো বলেন, একটা বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে গেছে৷ পুলিশে সত্যিকার অর্থে সংস্কার আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক৷ এজন্য তাদের সক্রিয়ভাবে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।”
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মাধ্যমে সরকার দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে তিনি জানান।
সংবাদ পড়ুন ও মতামত ব্যক্ত করুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.