ঢাকা //
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের যোগসাজশে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। আর প্রতিবেশি একটি রাষ্ট্র তাদের প্রভাব বজায় রাখতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে। হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ডরা ছাড় পাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতারা বিডিআর এর পোশাক পরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন কি না তা তদন্ত করা উচিত।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ এবং আলোচিত ঘটনা, যা বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা BGB) এর সদর দপ্তর পিলখানাতে ঘটে। এতে ৭৪ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন, যা বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯, পিলখানা (ঢাকা) অবস্থিত বিডিআর সদর দপ্তরে একটি বিদ্রোহের সূচনা হয়। এটি মূলত বিডিআরের সদস্যদের মধ্যে থাকা অস্থিরতা, ক্ষোভ, এবং তাদের দাবি-দাওয়ার কারণে ঘটে। বিদ্রোহীরা তাদের অস্থায়ী আঞ্চলিক সুবিধার জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। এর পাশাপাশি, তাদের বেতন, উন্নয়ন এবং চাকরির শর্তের অবনতির কারণে এই বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়। বিদ্রোহীরা প্রায় ৭৪ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে এবং তাদের দেহ পুড়িয়ে ফেলে। এর মধ্যে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সেনা কর্মকর্তা স্ত্রীর পাশাপাশি, আরও বেশ কয়েকজন নিহত হন। বিদ্রোহীরা পিলখানার অভ্যন্তরে তাদের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালায় এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা তথ্য ও সরঞ্জামাদি চুরি করে।
মতামত জানান।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.